ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যের প্রায় ৫০০টির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শহরে গত কয়েকদিনের ঝড় ও বর্ষণে বন্যার প্রভাব পড়েছে।
বিভিন্ন গনমাধ্যম সুত্রে দেখা গেছে, বন্যায় বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিধস এবং একটি বাঁধের আংশিক ভেঙে যায়। ফলে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ। এ ছাড়া সুপেয় পানির সংকটে পড়েন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। স্বেচ্ছাসেবীরা নৌকা, জেট স্কি, এমনকি সাঁতার কেটে চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন বলে জানা গেছে।
ফ্যাবিয়ানো সালদানহা নামে এক উদ্ধারকর্মী জানান, জেট স্কি ব্যবহার করে তিনি ও তার ৩ বন্ধু মিলে গত শুক্রবার থেকে প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করেছেন।
পোর্তো আলেগ্রির নিকটবর্তী ক্যানোস শহরের কাইলি মোরেস নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্যার পানি তাদের বাড়ির প্রায় দ্বিতীয় তলায় উঠে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিন সন্তান ও স্বামীর সঙ্গে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। গত ৫২ বছরে এ অঞ্চলে এমন বন্যা দেখেননি তিনি।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে এটিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
ব্রাজিলের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা জানিয়েছে, পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা হ্রদ ও এর তীর ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানির স্তর অনেক বেড়েছে। কোথাও কোথাও দ্বিতল বাড়িও ডুবে গেছে।
আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৯ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি