ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস ও তীব্র ঝড়ে ৫৭ জন নিহত, ৭৪ জন আহত এবং ৬৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ প্রায় ৭০ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষ করে বৃহত্তম পোর্তো আলেগ্রে শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
তবে মৃতের এ সংখ্যায় পোর্তো আলেগ্রে বন্যায় ডুবে যাওয়া গ্যাস স্টেশনে বিস্ফোরণে যে দুজন মারা গেছে তাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া গুইবা নদীর পানি ঐতিহাসিক রেকর্ড ৫.০৪ মিটার উচ্চতায় বয়ে যাচ্ছে। এর আগে ১৯৪১ সালে গুইবা নদীর পানি ৪.৭৬ মিটার রেকর্ড উচ্চতায় বয়ে গিয়েছিল। এদিকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ৬৯ হাজার দুইশ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ লাখেরও বেশি লোক খাবার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
পোর্তো আলেগ্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে গ্রাভাটাইয়ের মেয়র সেবাস্তিয়াও মালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে কঠোর সতর্কতা জারি করে বলেছেন, লোকজনকে অবশ্যই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।
রিও গ্রান্ডে দো সুলের গভর্ণর লেইট পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন বর্ণনা করে একে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছেন। যত দূর চোখ যায় পুরো আবাসিক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ধ্বংস ও সেতুগুলো ভেসে গেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিও গ্রান্ডে দো সুলের অন্তত তিনশ পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি আবহাওয়ার এ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:১৫ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি