দশ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবধান অনেক। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন আর্থিক স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা শুরু করে, ঠিক তখনই ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। শুরু হয় রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন। সেসময় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বহু চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দেয়া হয়। আর ‘হাওয়া ভবন’ খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট। আর সেজন্যই আসে ২০০৭ সালের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যে সরকার বিনা কারণে আমাকে প্রায় এক বছর কারাগারে রাখে।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করি। বিএনপি-জামায়াত এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২ বছরের আর্থিক ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা কাটিয়ে এবং সেই সময়কার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করে আমরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এক নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হই। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি সুপরিচিত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।সূত্র : আর টি ভি