বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা শুনছি, আপনারা সমন্বয়ক-সহ-সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে জায়গা দখল করছেন, চাঁদাবাজি করছেন, হামলা-মারধর করছেন। এই বিষয়ে আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি, এটা যারা করছেন তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো এবং বিচার নিশ্চিত করবো।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে দেওয়া ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এসব কাজ যারা করছেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি জানান, সমন্বয়ক বা সহ-সমন্বয়ক কোনো পদবী নয়, যে তারা কোনো বিশেষ সুবিধা দাবি করতে পারেন না; সমন্বয়করা স্বেচ্ছাসেবকের মতো।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে কোথাও নতুন করে সমন্বয়ক বা সহ-সমন্বয়ক ঘোষণা করা হচ্ছে না এবং এই ধরনের কোনো পরিকল্পনাও আপাতত নেই।
তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক বা সহ-সমন্বয়ক রয়েছেন তাদের এটা ফলাও করে প্রচার করার কিছু নেই। এই যে বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক এবং সহ-সমন্বয়ক নামের কমিটি দেওয়া হচ্ছে এই কমিটির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বৈষম্যবিরোধী কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করারও পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে, সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাইলে তাদের বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি বাকশাল কায়েম করতে চায়, তাদের চিনে রাখুন, বয়কট করুন। তারা আমাদের কেউ নয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম