পুরো দেশে প্রায় চল্লিশ হাজারের মতো বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা রয়েছে।পরিতাপের বিষয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কোনো নিয়ম – নীতি – শৃঙ্খলা নেই। কতিপয় প্রতিষ্ঠানে কিছু নিয়মশৃঙ্খলা থাকলেও যাচাই করে দেখা গেছে সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিক জীবিত নেই অথবা মালিক নিজেই প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। এজন্য সেসব প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে তাদের শিক্ষার কার্যক্রম ঠিক রাখতে পারছে।
অন্যদিকে, যেসব প্রতিষ্ঠানের মালিক জীবিত বা সেই প্রতিষ্ঠানের তিনি অধ্যক্ষ নন বা অন্য কাউকে দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করান,সেক্ষত্রে ঐ ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ও পরিবেশ মানসম্মত নয়।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং নামক একটা বিষাক্ত বিষয় রয়েছে, যার কারণে মেধাবী শিক্ষকদের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে – অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ শোষণ করার নিমিত্তে ব্রিটিশ রোলস এন্ড ডিভাইডেড -এর প্রয়োগ করে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে যাতে শিক্ষকদের দমন-পীড়ন করতে সুবিধা হয়।
ছাত্র -ছাত্রীদের দিক থেকে ভাবতে গেলে একটা বিষয় উঠে আসে,পরীক্ষার ভীতিকে হাতিয়ার বানিয়ে শিক্ষকেরা ছাত্র -ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে।যেসব বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর আছে সেসব বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীকে ব্যবহারিক নম্বরের ভয় দেখিয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করাসহ/ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
প্রকৃত অর্থে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাবটা গিয়ে পড়ে ছাত্র -ছাত্রীদের পড়াশোনার ওপর।অন্যদিকে, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনো মালিকানাধীন না হওয়ায় এবং শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্হা থাকায় ছাত্র -ছাত্রীদের পড়াশোনার ওপর তেমন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।
এমতাবস্থায়, দেশের সকল শিক্ষক আগামী ৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। বস্তুত,জাতীয়করণের প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি,বিষটির দিকে সরকার প্রধান নজর দিলে দেশ,জাতি ও শিক্ষার উন্নয়ন ঘটবে।
কলমে-
মো.ইব্রাহিম খলিল
প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান( বাংলা)
বদিউল আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
(বিঃদ্রঃ মুক্ত মতামতের জন্য সম্পাদক কোনভাবে দায়ী নন। )