ডিবিএন ডেস্কঃ চলতি ২০২২ সালে বেসরকারি এজেন্সিগুলোর ব্যবস্থাপনায় হজ করতে গেলে মাথাপিছু সর্বনিম্ন খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা খরচ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ‘সাধারণ প্যাকেজ’ নামে একটি প্যাকেজ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবেন। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে কম হবে না। সাধারণ প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরিফের বাইরের চত্বরের সীমানার ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে।
শাহাদাত হোসাইন আরও বলেন, কোরবানির খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৪১০ সৌদি রিয়াল সমান পরিমাণ ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।
এদিকে, সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এ বছর প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ লাখ ১৫০ টাকা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি।
এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। ২০২০ সালে হজ পালনে প্যাকেজ-১-এ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্যাকেজ-২-এ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-৩-এ খরচ ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তখন হজ প্যাকেজগুলো বেসরকারি হজযাত্রীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তবে প্যাকেজ ঘোষণা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি।