অনলাইন ডেস্কঃ বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত দুর্বৃত্তদের মুহূর্মুহু বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন পথচারীসহ বন্দরের ২০ শ্রমিক। এ ঘটনায় বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল দুর্বৃত্ত বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দখলে নিতে শ্রমিক সংগঠনের অফিসের সামনে মুহূর্মুহু বোমা হামলা শুরু করে।
জানা গেছে, স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে বহিরাগত একটি দলের মধ্যে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এসময়ে শতাধিক শক্তিশালী হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। আতংকিত হয়ে বন্দরে কর্মরত কাস্টমস, বন্দর, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ট্রান্সপোর্ট কর্মচারি ও সাধারণ পথচারিরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। প্রায় ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকে বেনাপোল-কলকাতা সড়ক। বন্দর ও আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায় লোকজন।
সুত্রে আরো জানা গেছে, দলীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বর্তমানে বন্দরের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমপি সমর্থকদের হাতে।
এ ঘটনায় আজিজুর রহমান ও আলী হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর ফলে সকাল ১১টা থেকে বন্ধ রয়েছে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
এদিকে যশোরের নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, বন্দরে দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাশেদ কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে বন্দরে বোমা হামলা করা হয়েছে। আমারা ৩ জনকে আটক করেছি।