সৌদি প্রজাতির গাড়ল ও ভেড়ার খামার করে স্বাবলম্বী হলো বেনাপোলের এক শিক্ষিত যুবক। কম্পিউটার প্রকৌশলীতে উচ্চতার ডিগ্রি নিয়ে আশানুরুপ ভালো চাকুরী না হওয়ায় মেহেদী হাসান নামে ঐ যুবক নিজ গ্রামে বিদেশী প্রজাতীর গাড়ল ও ভেড়ার চাষ শুরু করে।বেনাপোলের শিকড়ী গ্রামের মেহেদী লেখা পড়া শেষে সরকারী চাকুরী না হওয়ায় কয়েকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। বিভিন্ন কারনে কোন প্রতিষ্ঠানে সে স্থায়ী ভাবে চাকুরী করতে পারে নাই। এর পর সে ২০১৮ সালের জুন মাসে দুইটি গাড়োলের বাচ্চা ক্রয় করেন ১৫ হাজার টাকায়। এর পর পর্যায় ক্রমে সে আরো ৩৫ টি দেশী ক্রস গাড়ল ক্রয় করেন। বর্তমান তার খামারে রয়েছে ৬০ টি গাড়োল ও ভেড়া। তার প্রথম ক্রয়কৃত একটি গাড়ল ৪ মাস লালন পালনের পর ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে। শিকড়ী গ্রামে মেহেদীর সাথে কথা প্রসঙ্গে মেহেদী বলল সে ভালো কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না পেয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে মানসিক ভাবে খুব একটা ভালো ছিল না। এরপর সে ঠিক করল নিজে নিজে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবে। নিজ গ্রামে এসে সে সৌদি প্রজাতীর গাড়ল ক্রয় করে খামার ব্যবসা শুরু করে। সে জানায় গাড়ল লালন পালন অত্যান্ত সহজ। এরা যে কোন পরিবেশে জীবন যাপন করতে পারে। রোগ ব্যাধি অত্যান্ত কম। বাজারে গাড়লের চাহিদা ও অনেক বেশী। একটি ৩/৪ মাস বয়সী গাড়লের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। একটি পূর্ন বয়স্ক গাড়ল ৬০ থেকে ৮০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়।প্রতি ছয় মাস পর পরম মা গাড়লের বাচ্চা হয়। কোন গাড়ল ২টি কোনটি ৩ টি আবার কেউ ৪টি পর্যন্ত বাচ্চা দিয়ে থাকে। গাড়লের মাংশের দাম বাজারে ৮ শত টাকা থেকে ১০০০ হাজার টাকা। গাড়লের রোগ ব্যাধি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরে চার বার কৃমির বড়ি আর দুইবার পিপিআর টিকা প্রদান করলে খামার রোগ মুক্ত থাকে। এছাড়া উপজেলা পশু সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্ন টিকা বিনা মুল্যে প্রদান করে থাকে। যারা শিক্ষিত হয়ে চাকুরী না পেয়ে হতাশায় ভুগছে তারা সহজে গাড়লের খামার করে স্বালম্বী হতে পারে। তিনি বলেন আগামী ১ বছরে তার খামারে দুই থেকে ৩ শত গাড়ল ও ভেড়া উৎপাদন হবে। সে জানায় তার খামারে সে এবং তার বাড়ির লোক বাদে বেতন ভুক্ত দুইজন লোক কাজ করে। গাড়লের সংখ্যা বেশী হলে লোক বল ও বৃদ্ধি করা হবে। :- মোঃলোকমান হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি