আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডা: বিষয়টি দুদিন আগেই আমি লিখেছিলাম। কোন দেশ করোনা রোগীকে সেই দেশে যাওয়ার অনুমুতি দিবে কিনা! কোন বিমান সংস্থাও এমন রোগী বহন করবে কিনা! আইনি জটিলতাটিও অগ্রাহ্য করার উপায় নেই কারন বেগম জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। জামিনে রয়েছেন। এমন কাউকে বিদেশে যাওয়ার অনুমুতি দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের আছে কিনা জানা নেই! বিশেষ সুবিধায় যদি বেগম জিয়াকে এই অনুমুতি দেওয়া হয় তবে তা আইন হয়ে যাবে। অন্য আসামীরা একই ভাবে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার আবেদন করলে সেই সুবিধা তাদের দিতে হবে। তবে বেগম জিয়ার ব্যপারে একটি সহমর্মিতা জাগ্রত হয়েছে জনমনে।
গনমাধ্যমে সরকারের নমনীয় মনোভাবের খবরও প্রচার হয়েছে। অনেকেই আশা করেছে বেগম জিয়ার বিদেশ গমন এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। এই বয়সে জেল খেটে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখন আর নেই। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিলে তা হবে সরকার মহত্ত্ব। কিন্তু বেগম জিয়ার বিদেশ ভ্রমন আইনগতভাবে সম্ভব নয় জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী। দ্বিতীয় কথা বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত। করোনা মুক্ত হলেও নিদৃষ্ট সময়ের আগে বিদেশ ভ্রমন সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোন দেশই এমন রোগীকে সেই দেশে প্রবেশের অনুমুতি দিবেনা। এমন বাস্তবতা জেনেও বি এন পি নেতারা বেগম জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন করেছেন। এখানেই অনেকের মনে সন্দেহ দানা বেধেছে। দুই বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া দেশের সর্ব্বোচ্চ চিকিৎসার সুযোগ পাবেন এটাই প্রত্যাশিত। সরকার তা নিশ্চিত করবে জনগন তা আশা করে। তবে আইনের বিষয়টিকে সকলকেই বিবেচনায় রাখতে হবে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানাও জরুরী।