তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারা দেশ। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বেশি কষ্টে আছেন জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষ। চলমান এই তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় মঙ্গলবার বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় ও মোনাজাত করা হয়েছে।
খুলনায় মহানগরীর শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত নামাজে ইমামতি করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির নগর সহসভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আবু তাহের, সম্পাদক মুফতি ইমরান হোসাইন।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম ও খতিব প্রভাষক মোহাম্মদ আলী।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার পশ্চিম টিকিকাটা গ্রামে ইসতিসকার নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। নামাজে অংশ নেওয়া টিকিকাটা এলাকার জাকির হোসেন বলেন, আমার জীবনে রোদের এতো তাপ দেখিনি। ঘরের ভেতরে বা বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছে না। ইমাম ও খতিব মাওলানা শাহ জালাল বলেন, মুসল্লিরা পানির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
রাজশাহীর বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে নামাজের ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আশরাফ আলী। এতে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, পৌর মেয়র আক্কাছ আলী, বাঘা মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নসিম উদ্দিন।
ঝিনাইদহে তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শ মুসল্লি অংশ নেন।
নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান। নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এসময় মুসল্লিরা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে ঝিনাইদহ তথা পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য দোয়া করেন।
নামাজ শেষে শায়েখ মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইসতিসকার বলা হয় অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা।
তিনি আরও বলেন, রাসুল (সা.) এই নামাজের সময় তার দু-হাত উল্টে মোনাজাত করতেন । তার মানে তিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন চাচ্ছেন। আমরাও তাঁর মতো করে করার চেষ্টা করেছি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম