কোভিড-১৯ এখন মেনে নিয়েছে মানূষ। করোনা এখন অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধির মতোই একটি ভয়ংকর ভাইরাস। এটি যাবেনা, বিধিনিষেধ মেনেই এখন থেকে চলতে হবে সকলকে। ভেক্সিন বেরিয়ে গেছে, বাজারে আসবে শিঘ্রই। তখন করোনা নিয়ে আলোচনাটিও কমে যাবে। এখন আবার রাজনীতিই চলে এসেছে আলোচনায়। আগষ্ট মাস ধরে বংগবন্ধুর জীবন প্রচারিত হয়েছে সব চ্যানেলে, বেরিয়ে এসেছে ৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট আর ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্টের হত্যাকান্ডের নানা তথ্য। এসব তথ্যে এখন একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছে, জেঃ জিয়াউর রহমান বংগবন্ধু হত্যায় জড়িত। ২১ শে আগষ্টের হত্যাকান্ডেরও নেপথ্যে ছিল তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়া। দাবী উঠেছে এই দুই হত্যাকান্ডের নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বেড় করে বিচার করার। এই বিচার শুরু হলে জিয়া, খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া তিন জনই ফেঁসে যাবেন। দল হিসাবে রেহাই পাবেনা বি এন পি’ও। তাই এখন শোর গোল শুরু হয়ে গেছে। তারেক এবং বেগম জিয়াকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে বি এন পি নেতারা দাবী করতে শুরু করে দিয়েছে। দেখা যাক কেমন ছিল ২১ শে আগষ্ট দিনটি সেদিন। বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা মিছিল পুর্ববর্তি বক্তব্য রাখছিলেন। বংগবন্ধু এভিনিউতে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছে। সভার অনুমতি নেয়া হয়েছে ডি এম পি’র কাছ থেকে। অনুমতি প্রদান করে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা থাকার কথা। ২১ শে আগষ্টের সেই সভায় বংগবন্ধু এভিনিউতে কোন পুলিশের উপস্থিতি ছিলনা। শেখ হাসিনা কে লক্ষ্য করে যে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে সেগুলি, পাকিস্তানে তৈরী আর্জাস গ্রেনেড। কোন সাধারন মানূষের হাতে এই গ্রেনেড পৌঁছানোর সুযোগ নেই। এই গ্রেনেড সামরিক বাহিনীর কাছে থাকে এবং, সরকার বিদেশ থেকে কিনে আনে। এই গ্রেনেড ঐখানে এলো কি করে? বিল্ডিং এর উপর থেকে বোমা নিক্ষপ্ত করে নিরাপদে বেড়িয়া যাওয়া সম্ভব ছিলনা। স্বাক্ষ্য প্রমান প্রমান বেড়িয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ তাদেরকে সাহায্য করেছে। আইভি রহমান সহ ২২ জনের মৃত্যু হলেও আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে ডাক্তার পাওয়া যায়নি। উপরন্ত পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে হাসপাতালে আসা মিছিলের উপর। তদন্ত শেষ না করেই আলামত ধংস করে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আঘাতের চিহ্ন। কেন?
পার্লামেন্টে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলতে দেওয়া হয়নি গ্রেনেড হামলা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন “ওনাকে আবার কে মারতে যাবে! সে নীজেই ভেনেটি ব্যগে করে গ্রেনেড নিয়েগেছেন”। পরদিন রমনা থানায় মামলা রুজু করতে গেলে, পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। সব শেষে, মুফতি হান্নান জবানবন্দি দিয়ে বলে দিয়েছে কে কখন কোথায় কার সাথে বৈঠক করেছে, নকশা এঁকেছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার।
আইন বলে The benifit of doubt goes to the accused এইসব ঘটনাই প্রমান করে সরকারের সংশ্লিষ্ঠতা। স্বাক্ষ্য প্রমানও রয়েছে। এই কারনেই এখন বি এন পি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ তুলে নীজেদের অপকর্ম ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সত্য কখনোই চাপা থকেনা আর, ইতিহাস সর্বকালেই সত্যনির্ভর হয়। সেই কারনেই ইতিহাস রচিত হয় দেরিতে। ২১ শে আগষ্টের হত্যাযজ্ঞ ৭৫ এর পরিকল্পনারই অংশ। শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল বি এন পি- জামাত সরকারের উদ্দেশ্য। অভিযুক্ত যেই হন, বিচার তাদের হতেই হবে নাহয় প্রজন্মের কাছে দায়ী থেকে যাবেন সকলেই।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২৮ আগষ্ট ২০২০।