বি এন পি’র নেতারা নির্বাচন বর্জনের সাথে সাথে নির্বাচন বন্ধেরও ঘোষনা দিয়েছে। প্রায় সব নেতারাই বলছে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবেনা। নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বি এন পি’র দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না কথাটি বেআইনি। সংবিধান এমন এখতিয়ার কাউকে দেয়নি। মেয়াদ উত্তীর্ন হলে সরকারও এক মিনিট ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। নির্বাচন কমিশনই সরকারের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিবে। পুনরায় নির্বাচন করেই সরকার গঠন করতে হবে দেশে। তাহলে বি এন পি এমন উদ্বাত্যপুর্ন বক্তব্য দিচ্ছে কোন পরাশক্তির ইন্দনে?
একটি উপায় অবশ্য আছে, যদি জনগন স্বতস্ফুর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসে! সেই সক্ষমতাও কি বি এন পি’র আছে? নির্বাচন কমিশন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশনের কাজে বাঁধা দেওয়ার ক্ষমতা সংবিধান কাউকে দেয়নি।তাহলে দলটি নির্বাচন বন্ধের এমন হুশিয়ারী দিচ্ছে কেন?
বি এন পি নেতাদের বক্তব্যের ভাষাটিও সৌজন্যতা ছাড়িয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে ভাষায় বি এন পি নেতারা হুশিয়ারী দিচ্ছে ধৃষ্ঠতাপুর্ন এবং অশালীন। আওয়ামী লীগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার মত দল নয়। শেখ হাসিনাও নদীতে ভেসে এসে ক্ষমতায় বসে যাননি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা এবং জনগন ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। যারাই শেখ হাসিনাকে হারিকেন ধরিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করার কথা বলেন তারা আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। শেখ হাসিনা ডাক দিলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি করতে পারে তা একবার নয় বার বার প্রমান করেছে। ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে স্তব্দ করা যায়না তা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। আর শেখ হাসিনা এমন কোন ভুল করেননি যার জন্য জনগন বি এন পি’র ডাকে রাস্তায় নেমে আসবে। সেই চেষ্টাও ১৪ বছরে কম করেনি কেউ! নির্বাচন করবেননা ভাল কথা! কিন্তু রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হলে ভেবে চিন্তেই বলুন। এমন কিছু বলা সঠিক হবেনা যা করে দেখাতে পারবেন না। নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাতবায়ন করতে না পারলে দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। আর নেতারা পরিনত হয় রাজনীতির জোকারে।
আওয়ামী লীগ অভিজ্ঞ দল এবং নেতারা জানে কিভাবে প্রতিপক্ষকে ক্ষেপিয়ে ভুল রাজনীতিতে ফেলতে হয়। সেই রাজনীতির ফাঁদেই বি এন পি পা দিয়েছে মনে হয়। নেতাদের বক্তৃতা বিবৃতি শুনেই বোঝা যায় দলটি শোচনীয় পরাজয়ের দিকে এগুচ্ছে। বি এন পি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তৃতা বিবৃতি মানুষের গ্রহনযোগ্যতা হারাচ্ছে। দলটির ভুল সিদ্ধান্ত এবং আস্ফালন প্রমান করছে দলে নেতৃত্ব সঙ্কট এখন প্রবল। গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে নির্বাচনের বিকল্প কোন পথ নেই। অন্য কোন উপায়ে ক্ষমতায় দখলের স্বপ্ন কেউ দেখে থাকলে তা স্বপ্নই থেকে যাবে।