বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশার কথা শোনাল বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা সংকটের মধ্যেই । অবশেষে করোনায় মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ওষুধের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ফলে নাকি সংকটাপন্ন করোনা রোগীদেরও প্রাণে বাঁচানো যাবে এমনটা দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও ভালভাবে বলতে গেলে, কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রয়োগে করোনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা নাকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন গাইডলাইনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সংকটজনক করোনা রোগীকে বাঁচাতে সস্তার ডেক্সামেথাজোনই মূল অস্ত্র হয়ে উঠেছে। সাইটোকাইন ঝড় থামিয়ে এই ম্যাজিক ওষুধটি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনছে ‘গুরুতর’ করোনা রোগীকে।
সম্প্রতি, ব্রিটেনের একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন । তাদের দাবি, ওষুধটি মৃত্যুর হার এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিয়েছে। তবে এই ওষুধের ভুল প্রয়োগে বিপদ আসতে পারে বলেও জানান গবেষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি এই ট্রায়ালটি করেছেন। তাদের সেই ট্রায়ালের মাধ্যমেই অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তিন রকমের কর্টিকোস্টেরয়েড নিয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে এগুলো আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি করছে। এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছে। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকা সংকটজনক করোনা রোগীদের উপর হাইড্রোকর্টিজোন, ডেক্সামেথাজোন এবং মিথাইলপ্রেডনিজোলোনের মতো কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ট্রায়াল বিভাগের প্রধান জ্যানেট ডিয়াজ বলেছেন, ‘৬৮ শতাংশ করোনা রোগী কর্টিকোস্টেরয়েডের থেরাপিতে সুস্থ হয়েছেন। তথ্য বলছে এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে প্রতি ১০০০ জন সংকটাপন্ন রোগীর মধ্যে ৮৭ জনের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। সুতরাং সংকটজনক রোগীদের মধ্যে এই ওষুধের প্রয়োগ হতেই পারে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্দেশিকা করোনা চিকিৎসায় নতুন পথ দেখাতে পারে। কারণ, যে স্টেরয়েডের কথা বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত সস্তায় বাজারে পাওয়া যায়। সুতরাং, এই ওষুধ যদি সত্যিই কার্যকরী হয়, তাহলে হয়তো অনেক কম খরচেই করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচানো যাবে।