বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে করোনা মোকাবিলায় কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। সংস্থাটির মতে- ধর্মীয় ও সামাজিক জমায়েত বাতিল করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ:
১. কমপক্ষে ১ মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে মসজিদে নামাজ আদায় করার সময় ।
২. কোলাকুলি করা, গায়ের উপর হাত দিয়ে ডাকা, শরীরের উপর হাত রাখা- এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন।
৩. একসঙ্গে অনেক মানুষ রমজানে দোকানে বা বাজারে জমায়েত বন্ধ করুন।
৪. অসুস্থ মানুষ এবং করোনার সামান্যতম লক্ষণ আছে তাদের বাসায় থাকতে বলুন। সেইসঙ্গে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।
৫. প্রবীণ এবং অসুস্থদের সমাবেশে অংশ নিতে নিষেধ করুন।
রমজানে যে কোনো প্রকার সমাবেশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ:
১. বাইরের যেকোনো সমাবেশ পরিত্যাগ করতে হবে এবং একান্ত প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা করতে হবে বাড়ির ভিতর খোলামেলা জায়গায়।
২. যতটা সম্ভব সমাবেশের সময়সীমা কম করুন।
৩. বড় বড় সমাবেশে যোগ দেয়ার চেয়ে কম অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ছোট সমাবেশের আয়োজন করুন।
৪. সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন দাঁড়িয়ে থাকার সময়, নামাজ পড়ার সময়, ওযু করার সময় এবং জুতা সংরক্ষণের স্থানেও ।
৫. মসজিদে প্রবেশ এবং বের হওয়ার মুহূর্তে সব সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৬. সমাবেশের মধ্যে যদি কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় তবে তার ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।
৭. মসজিদের প্রবেশদ্বারে এবং ভিতরে হ্যান্ড ওয়াশ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৮. পর্যাপ্ত পরিমাণে টিস্যু থাকতে হবে ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. ব্যক্তিগত জায়নামাজ মসজিদে কার্পেটের উপরে ব্যবহারের জন্য বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।
১০. নামাজের আগে পরে মসজিদ পরিষ্কার রাখতে হবে জীবাণুনাশক এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে ।
১১. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে মসজিদের প্রাঙ্গণ, ওযুখানা । সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।