বিশ্বে দামি আমের জাতের নাম ‘তাইও নো তামাগো’। যার মানে দাঁড়ায় ‘Egg of the sun’। এ প্রজাতির আমই বিশ্বে সব থেকে দামি। এটি জাপানের মায়াজাকি অঞ্চলে চাষ হয়। বিক্রি হয় অবশ্য গোটা জাপান জুড়ে। প্রতি বছর প্রথম ফলন করা আম নিলামের মাধ্যমে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হয়। এ আমের ফলন অন্যান্য আমের মতো হয় না। অর্ডারের উপর নির্ভর করেই এ জাতের আমের ফলন হয়।
সূর্যের ডিম আম বা মিয়াজাকি আম একটি জাপানি আম। আন্তর্জাতিক বাজারে এটি ‘লাল আম’ নামে পরিচিত। যা বর্তমানে নোয়াল ফার্ম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে। জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে অনেকে একে মিয়াজাকি আম নামেও ডাকে।
প্রতি বছর এপ্রিলে মিয়াজাকির পাইকারি বাজারে সূর্যের ডিম আমের নিলাম হয়। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা আমের আকার আকৃতি, রং, মিষ্টতা, স্বাদ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে সেরা সূর্যের ডিম নির্বাচন করেন। এই আমের সাথে উত্তর আমেরিকার ডোল ব্র্যান্ডের আমের তুলনা করা যেতে পারে। কিন্তু মূল্যের দিক থেকে তাইয়ো নো তামাগোর আম অনেকটাই এগিয়ে। তাইয়ো নো তামাগো ব্র্যান্ডের আমের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর কোনো আমের ওজনই ৩৫০ গ্রামের অধিক নয়।
২০১৭ সালে এ প্রজাতির দুটি আম নিলামের মাধ্যমে ৩৬০০ ডলারে বিক্রি হয়। অর্থাৎ প্রায় দুই লাখ ৭২ হাজার টাকা। তখন প্রতিটি আমের ওজন ৩৫০ গ্রাম ছিল। অর্থাৎ মাত্র ৭০০ গ্রাম আমের দাম দুই লাখ ৭২ হাজার টাকা। এই দামি আম এক কেজি কিনতে গিয়ে ঢোঁক গিলতে হয় ধনী ব্যক্তিদেরও।
আকাশছোঁয়া দামের এ প্রজাতির আম চাষে বিরাট কাঠখড় পুড়াতে হয় কৃষকদের। সাবধানতার ওপর সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। গাছে মুকুল থেকে আম এলেই ছোট জালে জড়িয়ে রাখতে হয়। তারপর নির্দিষ্ট অবস্থানে আমগুলো রাখা হয়। কারণ সূর্য্যের আলো আমের নির্দিষ্ট অংশে পড়ে। এ জাতের আমকে মাটিতে পড়তে দেয়া হয় না। বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে আমের এক পাশে রুবি রেড রঙে রাঙানো হয়। যেমন দাম তেমনি আমের জাতটির স্বাদ ও গন্ধ। সুত্রঃ উইকিপিডিয়া।