অলিউর রহমান মেরাজ, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে এক মাদরাসা ছাত্রের পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানোর ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক শিক্ষক লুৎফর রহমানকে বুধবার দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের তালিমুদ্দিন ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র মারুফ হাসানকে শারীরিক নির্যাতন করে পায়ে শিকল বেঁধে ঘরে আটকে রাখে শিক্ষক লুৎফর রহমান।
রাতে শিশুটি শিকল পরিহিত অবস্থায় ভয়ে মাদরাসা থেকে পালিয়ে ধানক্ষেতের জমি পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী চৌধুরী পাড়া গ্রামে গিয়ে উঠে। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসী ছেলেটিকে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে শিকল অবস্থায় ছেলেটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অন্যদিকে ঘটনা বেগতিক দেখে শিক্ষক লুৎফর রহমান (৩৫) পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু পুলিশ মাদরাসায় কর্তব্যরত অন্য দুই শিক্ষকের মাধ্যমে কৌশলে লুৎফর রহমানকে থানায় ডেকে নেয়। রাতেই ওই ছাত্রের বাবা পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মাসুম মিয়া বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১২। আটক শিক্ষক লুৎফর রহমান পাশ্ববর্তীফুলবাড়ী উপজেলার রুদ্রানী গ্রামের মৃত. ছাইফুল ইসলামের ছেলে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় গ্রামবাসী মাদরাসাটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।