ফাইনালে যে দল নার্ভ ধরে রাখতে পারে, তাদেরই নাকি জয় হয়। সেই নার্ভ ধরে রাখার মিশনে প্রথম হার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরই। টসে জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওভারথ্রোতে ৮ রান হজম করেছে দলটি। যদিও এরপরই প্রতিপক্ষ সিলেট স্ট্রাইকার্সকে চেপে ধরেছে কুমিল্লা।
এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে সিলেট। দলটির পক্ষে শুরু করেন তৌহিদ হৃদয় এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। কুমিল্লার পক্ষে প্রথম ওভার করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এই ক্যারিবিয়ানের করা প্রথম বলেই লেগ সাইডে হালকা পাঞ্চ করেন শান্ত। সেখান থেকে বল ধরে থ্রো করে চার রান হজম করেন কুমিল্লার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। একই ওভারে এরপর টানা দুটি চার হাঁকান শান্ত। এরপর নেন সিঙেল। ওভারের শেষ বলে হৃদয়ের প্যাডে লেগে বল ফাইন লেগে গেলেই সেখান থেকে থ্রো করে বাড়তি চার রান সিলেটের পক্ষে দেন কুমিল্লার তানভীর। সিলেট প্রথম ওভারে তোলে ১৭ রান।
আগের ওভারের চার ওভারথ্রো দেওয়ার মাশুল তানভীর বল হাতে নিয়ে করেন। নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই হৃদয়ের উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এদিনও ব্যাট হাতে উপরে নামেন মাশরাফী।
রানের খাতা খোলার আগে ফেরা হৃদয়ের জায়গায় তিনে নামেন দলটির অধিনায়ক। যদিও ১ রানের বেশি করতে পারেননি মাশরাফী। ফেরেন আন্দ্রে রাসেলের বলে ক্যাচ দিয়ে। এদিন সিলেট অধিনায়কের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি।
প্রথম ওভারে ১৭ রান দেওয়া কুমিল্লা এরপর চাপে ফেলে দেয় সিলেটকে। পরের তিন ওভার থেকে ২ উইকেট নিয়ে কুমিল্লা হজম করে মাত্র ১৭ রান। তাও এরমধ্যে মিসফিল্ডিংয়ে ৪ হজম করে দলটি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিলেট ৪ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে করেছে ৩৪ রান। মাঠে আছেন ওপেনার শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম।