মাশরাফি বিন মর্তুজার দল সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে জিততে কুমিল্লার দরকার ছিলো ১৭৬ রান। মাঠে নেমে ৪ বল হাতে রেখেই এই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইমরুল কায়েসের দল।
এবারের বিপিএলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের মতো অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত দলকে ফাইনালে তুলেছেন মাশরাফি। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে দলকে নিয়ে এসেছিলেন শিরোপার কাছে। ফাইনালে ভালো লড়াইয়ের পরও অবশ্য তাদের হারতে হলো। এমন হারের পর বিপিএলের ফাইনালে মাশরাফির না হারার রেকর্ড গেছে ভেঙে। এ নিয়ে জানতে চাইলে ফাইনালের পরের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন, ‘একদিন না একদিন হওয়া দরকার ছিল, হয়েছে আজকে। ভালো হয়েছে। সবকিছুরই তো শেষ আছে।’
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এবার সিলেট স্ট্রাইকার্সে মাশরাফি ছিলেন অধিনায়কের চেয়ে বেশি কিছু। কয়েক ম্যাচে মাঠে থেকে বোলিং করেননি। দল গোছানো, পরিকল্পনার বড় অংশজুড়েই ছিলেন তিনি। ছিলেন মাঠের বাইরেও। সামনেও কি সিলেটের নেতৃত্বেই থাকবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘পরের বছর তো অনেক দূরে। যদি সুস্থ থাকি।’
সিলেট নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন কি না এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলছিলেন, ‘আগের দিনও বলেছিলাম আমাদের এটা বাজেটের দল। নির্দিষ্ট বাজেটের দল, এর বাইরে যাওয়ার আসলে সুযোগ ছিল না আমাদের যে মালিক তাদের। তারপরও সেরাটা উনারা চেষ্টা করেছেন। আমাদের বেশির ভাগই দেশি ব্যাটার যারা ছিল টপ অর্ডারে। তারা পারফর্মও করেছে, পুরো অথরেটি নিয়েই খেলতে পেরেছে, বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তারা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পেরেছে। এটা হয়তো ভবিষ্যতেও তাদের কাজে লাগবে এই ধরনের টুর্নামেন্ট থেকে।’
‘যা হয়েছে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতাম না। ছেলেরা যতটুকু চেষ্টা করেছে, এর চেয়ে বেশি আশা করা যায় না। তবে হ্যাঁ, শেষদিন মাঠে যারা ভালো খেলবে, তারা জিতবে। আমরা ভালো খেলিনি এই কথা বলা ঠিক হবে না। ছেলেরা ভালো খেলেছে। কিন্তু কিছু জায়গায় ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে চলে গেছে গেছে।’ মাশরাফি বিন মর্তুজা
ফাইনালের শেষ দিকে ২৪ বলে যখন ৫২ রান দরকার কুমিল্লার, তখন ১৭ নম্বর ওভারে তিন ছক্কা ও এক বাউন্ডারি হজম করাসহ ২৩ রান দিয়ে ফেললেন সিলেট স্ট্রাইকার্স পেসার রুবেল হোসেন। তবে রুবেলকে খলনায়কের ভূমিকায় না বসিয়ে সিলেট অধিনায়ক উল্টো বলেন, আসলে রুবেলকে দোষ দেই কী করে? ইনফ্যাক্ট রুবেলই আমাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছিল। আসল কথা হলো আমরা সময়মতো প্ল্যানগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারিনি।