বিদেশি ক্রেতাদের জন্য পোশাকের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন-বিজিএমইএ। পোশাকের উৎপাদন ব্যয় বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে দাম বাড়ানোর দাবি করে আসছে পোশাক ব্যবসায়ীরা।
রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যেন এক বন্ধুর পথ পার করছে। উদ্যোক্তাদের কারখানার পরিবেশ উন্নয়ন করতে অ্যাকোর্ড অ্যালায়েন্সের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে বেশ।
জিএসপি বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কয়েকবার আলোচনায় এসেছে ইউরোপীয় জিএসপি সুবিধা নিয়েও। ২০১২ সালের পর থেকে দুবার বাড়ানো হয়েছে শ্রমিক মজুরি।
বিজিএমইএ বলছে, এই সময়ের মধ্যে পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। ২০১৪ থেকে ১৮ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের পোশাকের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ আর ইইউ’র বাজারে দশমিক ২২ শতাংশ। অন্যদিকে নানা কারণে অন্তত ১২শ’ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির বলেন, যদি আমাদের টিকে থাকতে হয় তাহলে তিনটি বিষয়কে সমন্বয় করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে, ক্রেতাদের মূল্য বাড়াতে হবে এবং সরকারের নীতি সহায়তা খুব দরকার।
তিনি বলেন, চায়নাতে বা ভিয়েতনামে কেউ পোশাক অর্ডার করে তখন সে এক রকম চিন্তা করে। আবার যখন বাংলাদেশে আসে তখন আরেক রকম চিন্তা করে। এর জন্য আমরা নিজেরাই অনেকটা দায়ী। আমরা আগেও নূন্যতম মূল্য নির্ধারণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হয়নি। এখন সময় হয়েছে সেটি করার।
তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পোশাকের নূন্যতম দাম বেঁধে দেয়ার চেয়ে কারখানার ডাটাবেজ করে সংগঠনগুলো দাম বাড়ানোর দাবি জোরালো করতে পারলে ভালো ফল হবে।
অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা যখন থাকবে তখন মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন। এজন্য এ থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসা দরকার।
বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানিতে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। এরই মধ্যে চীন উচ্চ দরের পোশাক রফতানির দিকে ঝুঁকছে। আর তুলনামূলক কম দামের পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মত দেশ।
সূত্র : সময় নিউজ