অবশেষে রাজধানীর হাতিরঝিল ছাড়ছে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। আদালতের বেঁধে দেয়া সময়েই নিজেদের ভবনে উঠবে সংস্থাটি। আগামী এপ্রিলেই হাতিরঝিল থেকে উত্তরায় নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হবে তাদের কার্যক্রম।একশ দশ কাঠা জমির ওপর নতুন কমপ্লেক্স উদ্বোধনে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা। ১৩ তলা কমপ্লেক্সেটির ৬ষ্ঠ তলায় এখন চলছে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ।
উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরের লেকের পাশেই একশ দশ কাঠা জমিতে হচ্ছে বিজিএমইএ কমপ্লেক্স নির্মাণ। ৪ লাখ ৬৪ হাজার বর্গফুটের কমপ্লেক্সটিতে থাকছে দুটি বেইজমেন্ট। এর ওপর ১৩ তলার দুটি টাওয়ারের মধ্যখানে থাকবে ৫ তলা টাওয়ার।
নির্মাণের শেষ পর্যায়ে এসে কাজ চলছে দিন-রাত।এর আগে বিজিএমইএর হাতিরঝিলের ভবনকে ‘ক্যান্সার’ আখ্যা দেন আদালত। ভেঙে ফেলতে সময়সীমা বেঁধে দেন কয়েকবার। তবে পোশাকশিল্পের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আদালত বারবার সময় বাড়িয়েছেন। সর্বশেষ মুচলেকা দিয়ে এক বছরের সময় নেয় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ, যা শেষ হবে আগামী ১২ এপ্রিল।বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,উচ্চ আদালতে মুচলেকা দেয়ায়, সময় বাড়ানোর আবেদনের সুযোগ আর নেই। তাই নির্ধারিত সময়েই অফিস সরিয়ে নিতে চান তারা। নতুন ভবনের কার্যক্রম স্থানান্তরে প্রস্তুতি চলছে।কমপ্লেক্সের এক থেকে চার তলা ব্যবহার করবে বিজিএমইএ। থাকবে অডিটরিয়াম, এক্সিবিশন সেন্টার, শোরুমসহ নানা আধুনিক সুবিধা। নির্মাণ খরচ তিনশ কোটি টাকার বড় অংশই আসছে ফ্লোর বিক্রি করে।
হাতিরঝিলে অবৈধভাবে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন ভেঙ্গে ফেলার চূড়ান্ত রায় আসে ২০১৬ সালের ২ জুন। পরে বিজিএমইএ-র আবেদনে ভবন ভাঙতে কয়েকদফা সময় দেয় উচ্চ আদালত।তবে হাতিরঝিলে বিজিএমইএর ভবনটি ভাঙা হবে কিনা তা এখনই জানা সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির জানান,বিজিএমইএ এই ভবন ছেড়ে দেওয়ার পর এটি সরকারের সম্পত্তি হবে। তখন সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কী করা হবে।