আজিজুর রহমান প্রিন্স, ঢাকা, বাংলাদেশঃ মুনিয়া নামের একজন তরুনী গুলশানে নিজ বাসায় আত্নহত্যা করেছে। এই আত্নহত্যার মোটিভ বেড় করতে গিয়ে একটি অডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। শোস্যাল মিডিয়াতে অডিওটি প্রচারও হয়েছে। সেই অডিওতে উঠে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপের এম ডি আনভির সোবহানের নাম। সি সি ক্যমেরার ফুটেজে আনভিরকে ঐ বাড়ীতে ঢুকতে দেখা গেছে। বাড়ীটি আনভির এবং মুনিয়া স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে ভাড়া নিয়েছিল। এসব বিষয় গনমাধ্যমেই ছাপা হয়েছে। মুনিয়ার আত্নহত্যাকে স্বাভাবিক মনে করেনি পুলিশ। আলামত জব্দ করে আনভিরকেই সন্দেহ করেছে এবং তার বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে এমন সন্দেহভাজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জিঙ্গাসাবাদ করার কথা। তা না করে এখন বাদীকেই হেনস্থ করা হচ্ছে। সংবাদ ছড়িয়েছে আনভির দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এমন খবর পত্রিকাতেও এসেছে। কিন্তু আনভির দেশেই আছে। আনভিরকে না খুজে এখন মামলার বাদিকে (মুনিয়ার বোন) চরিত্র হরনের চেষ্টা চলছে। মুনিয়ার আত্নহত্যায় বোনের যোগসূত্রটি বোধগম্য নয়। তথ্য আড়াল করে এখন মামলার প্রচারনাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিনিময় ছাড়া এমনটি হয়েছে মনে হয়না। “ওদের টাকা আছে” ওরা সব পারে। নিয়মটি হল মামলার প্রয়োজনে সন্দেহের আসামীকে গ্রেপ্তার করে জিঙ্গাসাবাদ করা হবে। মামলার মোটিভ উদ্ধার করা হবে। আনভির নির্দোষ হলে পুলিশের সামনে এসে কথা বলতে ভয় কেন? ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর জীবন চলে গেছে, লোক দেখানো হলেওত আনভির শোকাহত হওয়ার কথা ছিল। আনভিরের বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞ জারি করা হয়েছে। সন্ধান পেলেই পুলিশ আনভিরকে গ্রেপ্তার করার কথা। কিন্তু গত বুধবার ঢাকার একটি ক্রিড়াচক্রের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে আনভির। সাংবাদিকদের সামনে বসে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। কোন সাংবাদিক আনভিরকে মুনিয়ার ব্যপারে কোন প্রশ্নই করেনি। তাহলে শুধু পুলিশের দোষ দিব কেন? একজন সন্দেহভাজন আসামী শুধু টকার জোরে সব নিয়ম নীতি কিনে নিতে পারলে দেশের বিচার ব্যবস্থাটির কি হবে? সাংবাদিকদের উপর সত্য প্রচারের ভরসাটিও উঠে যাবে। মুনিয়ারা অর্থের দাপটে রক্ষিতা হবে। মরেও বিচার পাবেনা। প্রতিদিন কতজন মুনিয়ার সতিত্ব লুন্ঠন হয় জানতে চাই। ধর্মের নামেও রিসর্টে অবোলা নারী ধর্ষিতা হয় – দেখার কেউ নেই।