বিগত ৩ নির্বাচনের অনিয়ম ও ত্রুটি খুঁজে বের করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য মাঠ কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছে সংস্থাটি। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে ব্যাপক বিতর্কিত নির্বাচন হিসেবে মনে করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেয়ায় একতরফা ভোট হয়, যে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জন নির্বাচিত হন। নির্বাচনী ইতিহাসে যা বিরল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবগুলো দল অংশ নিলেও রাতের ভোট বলে অভিহিত করা হয়। ঐ নির্বাচনে বিএনপি ও শরিকরা সাতটি আসন পায়, যা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের সন্দেহকে দৃঢ় করে তোলে।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানো হয়। এতে টানা চারবারের মতো ক্ষমতায় আসে দলটি। অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের পর এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন গঠন হলে বিভিন্ন মহল থেকে ঐ তিন নির্বাচনে অনিয়মের কারণ খুঁজে বের করার দাবি ওঠে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেও সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তা খুঁজে বের করার দাবি তোলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারই ধারাবাকিতায় কর্মকর্তাদের ঐ নির্দেশনা দেন। এরপর লিখিত নির্দেশনায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন। এতে উল্লেখ করা হয়, বিগত নির্বাচনের অনিয়ম ও ত্রুটিগুলো শনাক্ত করে প্রতিবেদন ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে হবে।
আজ ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:২২ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি