বিকেলের নাস্তায় পরিবেশন করতে পারেন মজাদার কিমা-আলুর চপ। আলুর সহজ লভ্যতা, সাদামাটা রন্ধন প্রণালীর জন্য খাবারটি আমাদের দেশে জনপ্রিয়। কিন্তু সবাই এক পদ্ধতিতে খাবারটি তৈরি করেন না। এলাকাভেদে রেসিপিটির রন্ধন পদ্ধতিরও ভিন্নতা রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে স্বাদের ভিন্নতা। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি তৈরি করাও সহজ।
জেনে নিন রেসিপি-
কিমা তৈরির উপকরণ
গরুর মাংসের কিমা- দেড় কাপ
তেল- ১ টেবিল চামচ
দারুচিনি- ১ টুকরা (২ ইঞ্চি)
এলাচ- ২টি
পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ
মরিচ কুচি- স্বাদ মতো
আদা বাটা- ১ চা চামচ
রসুন বাটা- ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া- আধা চা চামচ
হলুদের গুঁড়া- কোয়ার্টার চা চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
ধনিয়া পাতা কুচি- ৩ টেবিল চামচ
অন্যান্য উপকরণ
সয়াবিন তেল- ২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি- স্বাদ মতো
আলু- ৪টি (সেদ্ধ)
ধনিয়া পাতা কুচি- ৪ টেবিল চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
ডিম- ১টি
ব্রেড ক্রাম্ব- প্রয়োজন মতো
তেল- ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালি
কিমা তৈরির জন্য প্যানে তেল গরম করে এলাচ ও দারুচিনি দিন। গরম মসলা থেকে সুঘ্রাণ বের হতে শুরু করলে পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি দিন। পেঁয়াজ একদম লালচে করে ভাজার প্রয়োজন নেই। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে আদা-রসুন বাটা, ধনিয়া গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো মসলায় মাংসের কিমা ও লবণ দিন। নেড়েচেড়ে দিন ভালো করে। কিমা থেকে বের হওয়া পানিতেই সেদ্ধ হয়ে যাবে মাংস। মিশ্রণটি শুকনো হয়ে আসলে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দুই মিনিট নেড়ে নামিয়ে নিন।
আরেকটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি দিন। নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ নরম হলে নামিয়ে সেদ্ধ করা আলু চটকে মিশিয়ে নিন। ধনিয়া পাতা কুচি ও স্বাদ মতো লবণ মেশান। এবার আলু হাতের তালুতে নিয়ে গোলাকৃতি করে মাঝের অংশ আঙুল দিয়ে গর্ত করে কিমার মিশ্রণ দিন। চারপাশ থেকে আলু দিয়ে ঢেকে দিন। ডিম সামান্য লবণ ডিয়ে ফেটিয়ে চপ ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। পরিবেশন করুন গরম গরম। রেসিপি: কুকিং স্টুডিও বাই উম্মি।