আগামীতে বিএনপি-জামায়াতকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এরা বাংলাদেশেকে ধ্বংস করতে চায়। তাই সতর্ক থাকুন, যাতে বিএনপি-জামায়াত আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। গতকাল রোববার (৭ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ইতোমধ্যে জেনে গেছে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সকলকে (নেতাকর্মী) আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব।
দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে বলে তিনি মনে করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। জনগণ কীভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে আর কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। ‘আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ অন্নহীন মানুষ থাকবে না’।
প্রধানমন্ত্রী আবারও বিএনপি ও এর নেতাদের ভোট চোর আখ্যা দিয়ে বলেন, তারেক রহমান একজন ভোটচোর এবং তার মা-ও ভোটচোর।
সরকার প্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মতো আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন