প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি কী আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? এ সময় তিনি বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।
নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন আওয়ামী লীগ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে এই নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশা আল্লাহ।’ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পলাতক আসামি, অর্থচোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়, তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাঁকে ভোট দেবে?’ তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।
নির্বাচন ঠেকানোর নামে (বিএনপি-জামায়াত জোট) অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত তারা নৌকায় (আ.লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়-তা আপনাদের সকলকে সর্বদা মনে রাখতে হবে। অপপ্রচারে কর্ণপাত করা যাবে না। আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে। এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম