একের পর এক পদত্যাগ ও বহিষ্কারের ঘটনায় বিএনপি’র সাংগঠনিক দুর্বলতা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে মনে করেন বিশ্লেষক ও নেতাদের কেউ কেউ। তারা বলছেন, হাইকমান্ডে শৃঙ্খলা না থাকার কারণেই এমনটি ঘটছে।
উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলে বিএনপিতে দেখা দেয় অস্থিরতা। কেন্দ্র এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও তৃণমূলের অনেক নেতাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অবতীর্ণ হন ভোটযুদ্ধে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় তৃণমূলের অনেক নেতাকে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য মনে করেন, উপজেলা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নেতাদের ডেকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে এমনটি হতো না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আগে একটা আলোচনা হতে পারতো। দল চলার পথে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু সেই ভুলের থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বিএনপি যদি সেই শিক্ষা নিতে পারে, লোক সঠিকভাবে বাছাই করতে পারে তাহলে বিএনপি স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে।
এদিকে, জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিএনপিতে ঘটছে একের পর এক পদত্যাগের ঘটনা। ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে তারা পদত্যাগ করলেও দলের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পরিচিত এ বিশ্লেষক বলছেন, শৃঙ্খলা দরকার বিএনপিতে।
তবে সাংগঠনিকভাবে বিএনপিকে শক্তিশালী দাবি করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলছেন, পদত্যাগী ও বহিষ্কৃতরা সুবিধাবাদী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরে আমরা অনেক বেশি শক্তিশালী। বিএনপির এখানে কোনো ক্ষতি নেই। যারা সুবিধাবাদী হিসেবে চলে যাচ্ছে সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়। তারা জনগণের কাছে ছোট হচ্ছে।
দলের কিছু নেতা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করতে না পারলে দুর্দশা কাটবে না বিএনপি’র।