২০০১ সালে বার্সেলোনার লা মেসিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন হরমোন জনিত রোগে আক্রান্ত ছোট্ট মেসি। এরপর ২০০৪ সালে বার্সেলোনার সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক হয়। এরপর থেকে প্রতিনিয়তই ছুটছেন ক্লাবের হয়ে।
অথচ তার বার্সা ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল একটি টিস্যুর উপর চুক্তির মাধ্যমে। দেখতে দেখতে টিস্যুতে করা চুক্তির খেলোয়াড়টি যে কখন ১৮ বছর পার করে দিয়েছেন তা বুঝতেও পারেননি। যে উদ্যম নিয়ে শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসেও এখনও ধরে রেখেছেন সেই উদ্যমতা। তার খেলা দেখে এক মুহূর্তের জন্যও মনে হবে তিনি ৩১ বছর বয়সী একজন খেলোয়াড়।
এতসব কীর্তির নায়ককে কি অবহেলা করা যায়? তাই তো বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষে হতে এখনো ২ বছর বাকি থাকতেই মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। ২০১৭ সালে করা নবায়নকৃত চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালে। তবে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয় স্প্যানিশ ক্লাবটি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বার্তেমেউ বলেন, আমরা চাই তার (মেসি) ক্যারিয়ার অনেক লম্বা হোক। যাতে আমরা অনেক বেশি দিন তার খেলা উপভোগ করতে পারি। মেসি সীমানা ভাঙতে জানে, নতুন নতুন কীর্তি গড়ার মাধ্যমে। যে কারণে প্রতিপক্ষের মাঠে গেলেও তাকে সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানায়।
চুক্তি নবায়নের বিষয়ে বার্তামেউ বলেন, আমরা শীঘ্রই তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়াবো। সে এখনো তরুণ। যেটা তার পারফরম্যান্স দেখলেই বোঝা যায়। সে প্রতিনিয়ত উন্নতি করেই যাচ্ছে এবং অভিনব সব কীর্তি উপহার দিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি তার ক্যারিয়ারে এখনো অনেক দিন বাকি। তাই আমরা তার সঙ্গে বসে আলোচনা করবো যাতে তাকে বার্সেলোনা আরও অনেক বেশি দিন রেখে দেয়া যায়।
তিনি বলেন, মেসি এক ক্লাবের খেলোয়াড়। সে মাঠে যা করে তার চেয়েও ভালো সম্পর্ক বার্সেলোনার সঙ্গে। আমি জানি এটি আজীবন থাকবে। এক্ষেত্রে আমি পেলের উদাহরণ দেই, যে সারাজীবন শুধু সান্তোসেই খেলেছে। আমরা মেসিকেও সারাজীবনের জন্য বার্সেলোনায় চাই। সেটা হোক খেলোয়াড় হিসেবে কিংবা অবসরের পর টিম ম্যানেজম্যান্টের অংশ হিসেবে।
বার্সেলোনার ভালো খেলার পেছনে মেসির অবদান স্বীকার করে ক্লাব প্রেসিডেন্ট বলেন, বার্সেলোনার চিন্তাধারাই বদলে দিয়েছে মেসি। ফলাফলের দিক থেকে শীর্ষে থাকা কিংবা প্রতি মৌসুমে শিরোপা জেতা- সবকিছুতেই মেসির অবদান অনস্বীকার্য।
সূত্র : আর টি ভি