চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় গোলাগুলির ঘটনায় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা এবং তিন সন্ত্রাসী (জেএসএস সদস্য) নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও এক সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।
নিহত সেনা কর্মকর্তা হলেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া আহত সেনা সদস্য হলেন সৈনিক ফিরোজ।
গতকাল (বুধবার) রাত সাড়ে ১০টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলার রুমা-রাঙামাটি সীমান্তবর্তী দুর্গম বথিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সেনাবাহিনী বলছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমজি, তিনটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, সেনাবাহিনীর আদলে তিনটি পোশাক, ২৮০টি গুলিসহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার করা করেছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাগুলোতে সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযানে থাকা বান্দরবান সেনা রিজিওনের মেজর এরশাদ উল্লা ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের একটি দল’ রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি জন্য জড়ো হচ্ছে খবর পেয়ে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলের একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে সেনা সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে জেএসএসের (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-সন্তু লারমা) তিন সন্ত্রাসী এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে মারা যান।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
আইএসপিআর-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দলের সদস্য। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শর্ত থাকলেও জেএসএস সেই শর্ত ভঙ্গ করে চুক্তির পরবর্তী সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লালন করছে। অথচ জেএসএসের প্রধান সন্তু লারমা সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিচুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও চুক্তি বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ করেন। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম, চাঁদাবাজিসহ দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত জনসংহতি সমিতির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।