তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটের অভিযোগে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানায় মামলা করেছেন উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু গোপাল দাশ। ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে কামারচাক ইউনিয়নের (বিদায়ী) চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিমকে। কিন্তু বাদী বলছেন, চেয়ারম্যান কিভাবে তার মামলায় আসামী হলেন তিনি নিজেও জানেন না।
মামলার এজহারের বিবরণ ও বাদীর বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়- রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে (১নং ওয়ার্ড) নির্বাচনের দিন মঞ্জু গোপাল দাশ ভোট দিতে কেন্দ্রে চলে যান। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হেলাল মিয়া সিকান্দারের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় তার ঘরের নারীদের মারধর, দুই ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আহত নারীদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় মঞ্জু গোপাল দাশ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০জনকে আসামী করে রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা লিপিবদ্ধ হয়। এদিকে মামলার এজহারে কামারচাক ইউনিয়নের (বিদায়ী) চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিমকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে আসামী করায় এনিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।
মামলার বাদী মঞ্জু গোপাল দাশ বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে আসামি করিনি। আমি নিজেও জানিনা তিনি কেমনে আসামি হলেন। আদালতে আমার দায়ের করা মামলায় কোন আসামিই আটক হয়নি। আমি চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে আবারো মামলা করবো। আমি আমার সত্য ঘটনার মামলায় বিচার চাই।
কামারচাক ইউনিয়নের বিদায়ী চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নজমুল হক সেলিম বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমি জানতামই না। বাদীও আমার সাথে কথা বলেছেন। তিনি জানেন না কীভাবে আমার নাম আসামীর তালিকায় উঠলো।
এ ব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বাদী মামলা করেছেন। হামলার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে। পরে মামলাটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যারা জড়িত আছে তাদের নামে চার্জশীট যাবে, যারা জড়িত নয় তারা বাদ যাবে। বাদীর স্বাক্ষরিত মামলার কাগজ দেয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী সে চিহ্নিত করবে চেয়ারম্যান সেলিম ছিল না অন্য কোন সেলিম।