মো.নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-(প্রতিনিধি)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজান চরের সাদ্দাম বাজার পশুর হাটে আসন্ন কুরবানি ঈদের আর মাত্র ৩দিন বাকি। এ সংকীর্ণ সময়ে হাট বারের শেষ বৃহস্পতিবার সাদ্দাম বাজার হাটে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুরবানীর পশুরহাট। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল আযহা। সর্বোচ্চ ত্যাগ তিতীক্ষার এ উৎসবে মুসলিম উম্মাহ পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পশু কুরবানী করা হয়। বাঞ্ছারামপুর বিভিন্ন হাটে কুরবানী পশু ক্রয় বিক্রয় করতে দেখা গেলেও সাদ্দাম বাজারের মত এতটা জমজমাট দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার সাদ্দাম বাজার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরু-ছাগলের এ পশুহাট টিতে উপচে পড়া ভিড়। গরু, ছাগলের সাথে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট এ হাটে পা ফেলা দুস্কর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দূর-দূরন্ত থেকে গরু-ছাগল নেয়ে বিক্রেতারা হাটে আসতে শুরু করে। দুপুর থেকেই বৃহৎ এ হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণা ও বেচাকেনাতে মুখরিত হয়ে ওঠে। অবশ্য গরুর সংখ্যাই বেশি। ইতিপূর্বে এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দর-কষাকষির চিত্র বেশি দেখা গেলেও শেষ হাটে তা দেখা যায়নি। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পশু কেনাবেচার চেষ্টা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। ক্রেতারা দেখে-শুনে পছন্দের গরুটির দরদাম করছেন। পছন্দ হলে ন্যায্য দামে কিনে খুশি মনে কোরবানীর পশু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। হাটের চারপাশ ঘুরে দেখা যায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিলো লক্ষণীয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েছে হাট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন। ফলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরু বিক্রেতা বলেন, ভারত থেকে গরু এবার আসে নাই তার পরে ও দাম অনেকটা কম। তারা আরো বলেন এবার গরুর দামও মোটামুটি ভালো পাওয়া যাচ্ছেনা । এদিকে, এলাকার খামারী রাধানগর গ্রামের খুশিদ মিয়া প্রধানের ছেলে বাদশাহ মিয়া সবচেয়ে বড় ১টি গরু দাম করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০হাজার টাকা তিনি ৮লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা উৎসব মুখর পরিবেশে গরু ছাগল বিক্রি করলেও শেষ বিকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। হাট ইজারাদার মো.আক্তার হোসেন, আবু হানিফ,নাছির উল্লা,তফাজ্জল মাষ্টার জানান, হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাট চলা কালিন সময়ে সড়কে যানজট রোধে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশ ও গ্রামপুলিশকে ও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। হাটের জায়গা সংকুলান না হওয়ায়,নদীর পাড়,বালুর মাঠ,দোকানের পিছনে,মাছ বাজারে পিছনের রাস্তায় প্রচুর পরিমানে গরু দেখা যায়।