মো.নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-৩ এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ উঠেছে। ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাঞ্ছারামপুরের কয়েকশ’ গ্রাহক।
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কয়েকশ গ্রাহক ভুতুড়ে বিলের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছে জুন মাসে বিলের কাগজ পৌঁছালে ওই বিলের টাকার পরিমাণ দেখে গ্রাহকদের চোখ কপালে ওঠে। তারা ওই বিল দেখে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা দেখেন প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিলে বিগত মাসের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়াও মিটারের ইউনিটের সাথে উল্লেখিত বিলের ইউনিটের সাথে কোন মিল নেই। এতে করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ বাঞ্ছারামপুর এলাকার কয়েকশ গ্রাহক।
উপজেলার উজান চর ইউনিয়নের বুধাইর কান্দি গ্রামের আমি নিজে ভুক্তভোগি মো.নাছির উদ্দিন নামে পল্লী বিদ্যুতের একজন গ্রাহক , আমার হিসাব নং ০১-১০৪-১৮৫০- মে, মাসে আমার আবাসিক বিদ্যুৎচমক বিল ৭৮১-টাকা বিল আসে। জুন মাসে ১৮২৮-টাকা এত বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যাই, পরে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ডিজিএম সেলিনা আক্তারকে বলি,বিল কাগজে গরমিল দেখে ঠিক করে ১০২০টাকা বিল বানাইয়া দেয়, পরে বিল পরিশোধ করি,অথচ পূর্বের মাস গুলোতে তার বিল আসতো ৩০০ টাকার মতো। এত ইউনিট ভুতে ব্যবহার করেছেন কিনা জানিনা।
দুলালপুর ইউনিয়নের ঝগড়ার চর গ্রামের হানিফ মিয়া হিসাব নং-০১-৭৯২-৪৮০০ বলেন, এপ্রিল মাসে ১৯১-টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি,কিন্তু মে মাসে এপ্রিল মাসের বিলসহ ৫৩১-টাকা বিল করে, পরে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সঠিক করে ৩৩১-টাকা বিল করে দেয়।এমন করে অনেকের কাছ থেকে টাকা বেশী নেয়।
উজান চর বাজারের স্কুল মার্কেট দোকান নং-২ হিসাব নং ০১-৫৩২-৭৫৫০ মে,মাসে বিদ্যুৎ বিল ৬৩৭-টাকা পরিশোধ করা হলেও জুন মাসে পুনরায় যোগ করে ১৩৫১-টাকা বিল করে দেওয়া হয়। দোকানদার বলেন, এভাবে যদি ভুতুড়ে বিলের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করা হয় তাহলে আমরা সাধারণ গ্রাহকেরা কোথায় যাব।
উজান চর গ্রামের মো.ছিদ্দিক মিয়া(দানিছ) আরেক গ্রাহক জানান, তাঁর হিসাব নং ০১-৫৩২-৭৩০০ তার বিলে যোগে বড় গরমিল পাওয়া যায়, টোটাল যোগ করে ৩০৫৫-টাকা বিল হয়,কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস ভুল যোগে ভুল করে ৩৩১৬টাকা বিল করে কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ও এর প্রতিকার পাওয়া গেলনা,২৬১-টাকা বিল বেশী দিতে হলো, এতে করে তার বিলের পরিমাণ বেড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এক মাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা না হলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বাড়িতে গিয়ে লাইন কেটে দেয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের এই ভুতুড়ে বিলের কোনো সমাধান পাই না সাধারণ গ্রাহকেরা। এর প্রতিকার কবে হবে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর বাঞ্ছারামপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম সেলিনা আক্তার সাংবাদিক কে বলেন, রমজান মাসে গরম পড়ার কারণে গ্রাহকরা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় বিল বেশি এসেছে। তবে কোন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল অবিশ্বাস্য রকমের বেশি আসলে তা হয়তো ভুল বসত হতে পারে। গ্রাহকরা অভিযোগ করলে তা সমাধান করে দেয়া হবে।