মো.নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর-ব্রাহ্ মণবাড়িয়া-(প্রতিনিধি)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি ও ভুলতা আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী, মেঘনা নদীর উপর দিয়ে তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সেতুবিভাগ।
বাঞ্ছারামপুরের উন্নয়নের রুপকার, সাবেক সফল প্রতিমন্ত্রী আধুনিক বাঞ্ছারামপুরের স্থাপতি, মাটি ও মানুষের নেতা এবং দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এ,বি তাজুল ইসলাম তাজ (অব.)এমপির আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কারনে অবশেষে নির্মান কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
তৃতীয় (R-203)মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মান কার্যে ৭,১৯৪(সাত হাজার একশত চুরান্নব্বই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার দৈর্ঘ্য ২৭৫০ মিটার। মেঘনা সেতু নির্মান হলে এই সড়কটি ঢাকা হতে ভুলতা আড়াইহাজার হয়ে বাঞ্ছারামপুর দিয়ে চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম হতে বাঞ্ছারামপুর হয়ে আড়াইহাজার দিয়ে ঢাকা-সিলেট বিকল্প মহাসড়ক হিসেবে পুর্নাঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে।
মেঘনা সেতুর উপর দিয়ে নির্মাণ করা যেতে পারে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রামের বিকল্প রেলপথও।
ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও উন্নতর করতে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার হয়ে বাঞ্ছারামপুর দিয়ে আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ভারত আগরতলা সড়ক।
আবার ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের দূরত্ব যেমন কমবে তেমনি মুক্তি মিলবে যানজট নামক ভোগান্তি থেকে। পূর্বে সব ধরনের সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকার পরও পরিকল্পনার অভাবে উল্লেখিত সড়ক ব্যবস্থা চালু হয়নি।
মেঘনা নদীর উপর তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটের সাথে স্থলপথে একটি সড়কের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।ঢাকা থেকে আড়াইহাজার হয়ে মেঘনা নদী পার হয়ে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর হয়ে ময়নামতি দিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়া হয় তবে ঢাকা-ভৈরব ময়নামতি রাস্তার চেয়ে ৮০/৯০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এই সড়কের মাধ্যমে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়ার এশিয়ান হাইওয়ের সাথে ও যুক্ত হতে পারে আখাউড়া-নবীনগর-বাঞ্ছারামপুর-আড়া ইহাজার হয়ে এশিয়ান হাইওয়ে। বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে এই তৃতীয় মেঘনা সেতু এবং উন্মোচিত হবে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীরা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার সুযোগ পাবে এবং যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।