মো. নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রতাবগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের সময় খলিল মিয়ার কনফেকশনারি দোকান, আনিছ মিয়ার মুদি দোকান,ফুল মিয়ার গো খাদ্যের দোকান,আমির মিয়ার সেনেটারি এন্ড ইলেক্ট্রনিকস দোকান, শ্রীধামের হার্ডওয়াডের দোকান,হোসেন মিয়ার খাবার হোটেল, শুকুর আলীর খাবার হোটেল, লিল মিয়ার গুদাম ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আগুনে পুড়ে ১ জন নিহত তিন জন আহত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আশেপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে নেভানো সম্ভব হয়নি পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে হোমনা বাঞ্ছারামপুরের ২টি ইউনিট ২ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ততক্ষণে ৮টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হোসেন মিয়ার খাবারের হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রঞ্জন বর্মন জানান চারজনকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপালের ইমার্জেন্সিতে আনা হয়।দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট রেফার করা হয়। ঢাকা নেয়ার পথে হাসান (১২) মারা যায়। বাকি দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সমশাদ বেগম,পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল-রহমান জনি, পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এবং মাননীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম বলেন, আমি প্রথমে খবরটি জনির কাছে শুনতে পেয়ে ইউনোকে বলি ঘটনাস্হলে আসার জন্য আমি সচিব মহোদয়কে ফোন করে সাথে সাথে চলে আসি,শেখ হাসিনার সরকার আছে আপনাদের পাশে আমি দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা মন্ত্রাণালয়ের সভাপতি আছি, সরকার আপনাদের ক্ষতি পূরণ পুষিয়ে দিবে, আপনারা হতাশ হবেন না ধৈর্য ধারণ করুন,ব্যবসায়ীরাসহ আপনাদেরকে সহযোগিতা করবে।
পরে এমপির ব্যাক্তি গত তহবিল থেকে প্রতি জনকে ১০হাজার করে নগদ টাকা ও নিহত ব্যাক্তির পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা আর পৌর মেয়র এর পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা নগদ অনুদান দেওয়া হয়।