মো. নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে বৃদ্ধাশ্রম সংলগ্ন ঢোঁল ভাঙ্গা নদীর পাঁশ ঘেঁষে বালুর মাঠে কাঁশফুল বনে দর্শনার্থীদের ভীড়। আকাশ নীল। পথের ধারে,ঢোঁল ভাঙ্গা নদীর কিনারে ফুটেছে সাদা কাঁশফুল। শরতের স্পর্শ পেতে কাঁশফুলের কাছে দলে দলে ছুটছে মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করেন দর্শনার্থীরা। এই ভিন্নরকম আনন্দ মেলায় যোগ দিচ্ছেন শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর ) বিকালে কাঁশফুল বন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে প্রকৃতি প্রেমীরা। আনন্দ ঘন মুহুর্ত ধরে রাখতে মুঠোফোনে সেলফি তুলছেন কিশোর কিশোরীরা। দর্শনার্থীদের প্রত্যেকেই মোবাইলে ছবি তুলেছেন বিভিন্ন ভঙ্গিতে।
ঋতুর রানী শরতের অপরূপ নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর স্নিগ্ধ কাঁশফুল তার অপরূপ সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। আর প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য দেখতেই ছুটছে প্রকৃতি রসিক লোকজন। বাঞ্ছারামপুরের ওভারব্রিজ সংলগ্ন বালুর মাঠে কাঁশফুলের এ বিশাল সাম্রাজ্য দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীদের আনাগোনা।
বাঞ্ছারামপুরে উপজেলার তাপস সাহার মেয়ে সূচনা সাহার সাথে কথা হলে সে বলে আমি ঢাকা থেকে পূজার ছুটিতে বাড়ীতে এসে কাকা নিয়ে ঘুরতে এসেছি, জায়গাটা খুবই সুন্দর, প্রকৃতি আকাশ মনে হয় একসাথে মিশে গেছে। পাশ দিয়েই ছুটে চলেছে ছুট্টো একটি খাল। যা কাঁশবনের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। আকাশে থোকা থোকা মেঘের ভেলার উড়াউড়ি আর কাশফুলের বাহারই হচ্ছে শরৎ প্রকৃতির মন মাতানো অলঙ্কার। আমরা মনের আকুতি পূরণে এখানে ছুটে এসেছি।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মিন্টু রঞ্জন সাহার মেয়ে প্রিয়ন্তী সাহা জানান, লোক মুখে শুনে কাঁশবনে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি,শরতের অপরুপ সৌন্দর্যময় কাঁশবনে এসে খুব ভালো লাগছে। গোধুলীর সময়ে মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাঁশফুল যখন বাতাসে দুলতে থাকে তখন মনটা সত্যিই আনন্দে ভরে ওঠে। প্রকৃতি অপরুপ সৌন্দর্য দেখে আমি বিমুগ্ধ হয়েছি।
উপজেলার যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী সমাপ্ত সাহা বলেন এই জায়গাটা অবহেলিত ছিলো কিন্তু আমাদের মাননীয় এমপি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলামের হাত ধরে বাঞ্ছারামপুরে উন্নয়নের জোয়ার ভাসছে তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই রাস্তা খুবই সুন্দর মনোরম পরিবেশ প্রকৃতি অপরুপ সৌন্দর্য শেষ বিকেলের আলো আর কাঁশফুল সত্যি মন কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আরোও বলেন গণমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান সহায়ক। সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির জাগ্রত বিবেক। সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সৎ, নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
বর্তমান সরকারের আমলে ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলামের মাধ্যমে যে উন্নয়ন বাঞ্ছারামপুর হয়েছে সেগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরে দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে হবে। সমাজের দর্পণ হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে চার পাশের সমস্যা, সমাধান ও সব সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছেন।