‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উপস্থাপন করেছেন। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এটি তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। এবার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। সেই হিসাবে এবারের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে ও কমছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
যেসব পণ্যে দাম বাড়ছেঃ মোবাইল কলরেট, ইন্টারনেট ও এসএমএস রেট, সিগারেট, কোমল পানীয়, এয়ারকন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, কাজু বাদাম, আইসক্রিম, পানির ফিল্টার, এলইডি বাল্ব, সিএনজি কনভার্সন, এমিউজমেন্ট পার্ক, থিম পার্ক , বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইকুইপমেন্ট ও ইরেকশন ম্যাটেরিয়াল, অর্থনৈতিক অঞ্চলের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী, ফার্নেস অয়েল, মিনারেল লুব অয়েল, লুব অয়েল, বেজ অয়েল, ফিলিং স্টেশন স্থাপন, সিএনজি কনভার্সন কিট ও সিলিন্ডার, পর্যটন, ইট।
যেসব পণ্যে দাম কমছেঃ এবারের বাজেটে ২৭ প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য। নির্মাণ সামগ্রী, সুইচ-সকেট, ইলেকট্রিক মোটর, মোটরসাইকেল, কিডনি ডায়ালাইসিস ফিল্টার ও সার্কিট, স্পাইনাল নিডল, এসেপটিক প্যাক, কার্পেট, ডেঙ্গু কিট, ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ, ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী, বিদেশি চকলেট, বিদেশি গুঁড়ো দুধ, মিথানল, পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন, ম্যাংগানিজ, দেশীয় ল্যাপটপ-কম্পিউটার, তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্রঋণ, রেমিট্যান্স, পোলট্রি, ফিশারি খাতেও করছাড় কমানো হতে পারে বলেও জানা যায়।
এবারের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৫৫ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি