রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সমারোহ। তবে সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না দাম। গেল কয়েক মাস ধরে যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল সেই দামেই চলছে বেচাকেনা।
আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, জিগাতলা কাঁচাবাজার, মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে জানা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপির আকার ভেদে দাম গত সপ্তাহের মতোই ৫০ থেকে ৫৫ টাকা করে, প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৮০ টাকাম শিম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বেগুন ৭৫-৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, বরবটির ৯০ থেকে ১০০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৭৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৯০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০- ১৬০ টাকা কেজি, গাজর ১০০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।
বাজারে সবজি থাকা সত্ত্বেও দাম কেন কমছে না এমন এক প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মারুফ সিদ্দিকী বলেন, আমরা পাইকারদের কাছ থেকে যে দামে কিনি, তার থেকে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। কিছু লাভ না করলে আমরা চলবো কিভাবে। তবে বাজারে যোগান কম থাকায় দাম বেশি।
এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের বেধে দেওয়া আলুর দাম লক্ষ্য করা যায়নি খুচরা বাজারে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। যদিও সরকারের নির্ধারিত দর ৩৫ টাকা। এ দামে কোথাও আলু বিক্রি করতে দেখা যায়নি। শীতের শুরুতে নতুন আলু চলে এসেছে বাজারে। প্রতি কেজি নতুন আলুর দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
এছাড়া বাজারে চীনা ও তুরস্কের পেঁয়াজের দাম মান ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকা, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মান ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৪০০- ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৭০-৫৮০ টাকা প্রতি কেজি, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।