তিমির বনিক,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় একদিনেই দুই ইউপিতে বাক প্রতিবন্ধী নারী ও এক সেনাসদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
থানা-পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ সদর ইউপি ছাতকছড়া গ্রামের আব্দুল্লা মিয়ার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৫) ধর্ষণ করা হলে মেয়েটির পিতা বাদি হয়ে একজনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আসামীকে আটকের অভিযান চলছে।
অপরদিকে একই রাতে উপজেলার আদমপুর ইউপি কেয়ালীঘাট এলাকার সেনাসদস্য শহীদুল ইসলামের স্ত্রী এক সন্তানের জননী তামান্না আক্তার( ২০) তার মায়ের বাড়িতে সেলিনা বেগমের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। মা সেলিনা বেগম মেয়েকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
সেনাসদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কান্দিগাঁও গ্রামে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছ। কেউ কেউ বলছেন মেয়ের স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় সেনাবাহিনীর সদস্য শহীদুল ইসলামকে ফাঁসাতে নাটক সাজানো হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে তামান্না আক্তারের শাশুড়ি শহীদুল ইসলামের মা লাইরং বিবির সাথে যোগাযোগ করলে আলাপকালে তিনি জানান, তার পুত্রবধুর সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই। সে দীর্ঘদিন থেকে তার মায়ের বাড়িতেই অবস্থান করছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে কান্দিগাঁও গ্রামের ভিকটিমের খালাতো ভাই মামুন আহমেদ, এলাকার কামাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন রানাসহ গ্রামবাসীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, গ্রামে এরকম কোন ঘটনার খবর তারা কেউ জানেনা। এরকম ঘটনা ঘটবে আর কেউ জানবে না সেটা কিভাবে সম্ভব? ঘটনাটি হয়তো সাজানো নাটক কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার সাজেদুল কবীর বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তামান্না আক্তার নামের এক নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
এদিকে খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল শহীদুল হক মুন্সির নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, এসআই ফজলে এলাহী, সিরাজুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি দল রাত পৌনে ১ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবসীর সাথে আলাপকালে ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে আশ্বাস প্রদান করেন।