করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে এমন ২০ দেশের একটি তালিকা করেছে হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। ওই তালিকায় ১৭ নম্বর অবস্থানে প্রতিবেশী ভারত থাকলেও নেই বাংলাদেশের নাম। যা স্বাভাবিকভাবেই খুব স্বস্তিদায়ক একটি খবর।জার্মান ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৭। আর করোনাভাইরাস আপেক্ষিক আমদানির সম্ভাবনা ০.২১৯ শতাংশ।বিশ্বের প্রায় চার হাজার বিমানবন্দরের ওপর পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে এই সম্ভাবনা ০.০৬৬ শতাংশ, মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজিতে এই সংখ্যা ০.০৩৪ শতাংশ এবং কলকাতার নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দরের সম্ভাবনা ০.০২০ শতাংশ। অল্প হলেও তালিকায় রয়েছে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরবাদ এবং কোচি বিমানবন্দরও।এক্সপেকটেড গ্লোবাল স্প্রেড অব দ্য নোভেল করোনাভাইরাস নামে এই সমীক্ষা যে ৪ হাজার বিমানবন্দরের ওপর করা হয়েছে, তার সঙ্গে আবার যুক্ত রয়েছে বিশ্বের প্রায় ২৫ হাজার বিমানবন্দর। এই ৪ হাজার বিমানবন্দরের বিমান ওঠানামার সংখ্যা, চরিত্র, গন্তব্য— ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সেই তথ্যের কম্পিউটার ভিত্তিক ও গাণিতিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।সমীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনার আপেক্ষিক অনুপাত বের করা। আপেক্ষিক অনুপাত বের করা হয়েছে কত সংখ্যক সংক্রমিত মানুষ অন্য দেশে ভ্রমণ করছেন সেই তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে।সম্প্রতি সায়েন্স ম্যাগাজিনে এই সমীক্ষার ওপর একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কত সংখ্যক এবং কত সময়ের ব্যবধানে বিমান চলাচল করে, তার ওপর ভিত্তি করে বলা সম্ভব যে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় করোনাভাইরাস আমদানির হার কেমন হতে পারে। বিমানবন্দর যত ব্যস্ত হবে, সেখানে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনাও বেশি। এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই সমীক্ষা করা হয়েছে।ঝুঁকিতে থাকা ২০ দেশের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে থাইল্যান্ড। এরপর রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীনের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা হংকং ও তাইওয়ান।সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কম্বোডিয়া। এরপর রয়েছে যথাক্রমে- অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাও, ফিলিপাইন, রাশিয়া, কানাডা, ভারত, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিয়ানমার।সূত্র : আর টি ভি