বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার দাবি করে স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিঠি দিয়েছে একটি ভারতীয়-আমেরিকান সংস্থা। এমনকি বাংলাদেশ ‘উগ্রপন্থী ইসলামিক রাষ্ট্রে’ পরিণত হচ্ছে বলেও চিঠিতে দাবি করেছে সংগঠনটি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা স্টাডিজ (এফআইআইডিএস) -এর সভাপতি খাণ্ডেরাও কান্দ বুধবার ট্রাম্পকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং জাতিসংঘের চোখের সামনেই বাংলাদেশ দ্রুত একটি ‘উগ্রপন্থী ইসলামিক রাষ্ট্রে’ পরিণত হচ্ছে। দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি শুধু প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নয়, নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার টিমকেও অনুরোধ জানাই তারা যেন বাংলাদেশে শান্তি পুনরুদ্ধার এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দেয়।
বাইডেনকে লেখা আলাদা এক চিঠিতে কান্দ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতি নির্ভর করছে তার সমস্ত নাগরিকের, বিশেষ করে জনসংখ্যার সবচেয়ে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অংশের অধিকার রক্ষার ওপর। আমরা আশা করি আপনার নেতৃত্ব এই মূল্যবোধগুলোকে সমর্থন করে যাবে এবং নির্যাতন ও বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর হৃদয়ে নতুন আশার সূচনা করবে।
ফিডসের দাবি, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর দুই শতাধিক হামলা হয়েছে। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি সংস্থাটি।
অতি সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম সম্মিলত সনাতন জাগরণ সমাজের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। আদালত জামিনও নামঞ্জুর করেছেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও তার জামিন না পাওয়া নিয়ে উভয় চিঠিতে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিডস।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম