অবশেষ আফগানদের হারালো বাংলাদেশ। দলনায়ক সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৭০ রানের অসাধারণ ইনিংসে ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয় পায় টাইগাররা।
রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের ঘূর্ণি যেন বুঝে উঠতেই পারছিল না বাংলাদেশ। গত পাঁচ বছরে চারবার হার সাকিবদের। ২০১৪ সালে সবশেষ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এরপর ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজে হতে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ।চলতি সিরিজেও নিজেদের প্রথম দেখায় ২৮ রানে হারতে হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। এ যেন আফগান জুজু।ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তান নিঃসন্দেহে শক্তিশালী দল। সেভাবেই শিরোপা জয়ের পথে এগোচ্ছে রশিদ খানের দল। তৃতীয় দল জিম্বাবুয়ের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দুই ফাইনালিস্ট দলের জন্য আজকের ম্যাচটা গা গরমের হলেও বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু প্রমাণের ম্যাচ এটি।সন্ধ্যায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আফগান দুই ওপেনারের কল্যাণে। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ আর হযরতুল্লাহ জাযাইয়ের ব্যাটে ৯ ওভার ২ বলে আসে ৭৫ রান। তার আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই শফিউল ইসলামের করা বলে ফাইন লেগে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাত ফসকে যায় রাহমানুল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ। এরপরই বাংলাদেশের উপর চেপে বসে দুই ওপেনার।ছয়জন বোলার বোলিং করলেও উইকেটের দেখা নেই। সপ্তম বোলার হিসেবে বল করতে এসে আফিফ হোসেন নেন এক ওভারে দুই উইকেট।জাযাইকে ৪৭ রানে ফেরানোর পর আসগর আফগনাকে ফেরান শূন্য রানে।রাহমানুল্লাহ গুরবাজ করেন ২৯ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। শেষদিকে শাফিকুল্লাহ’র ২৩ রান আফগানদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩৮ রানে থামে।আফিফ হোসেন নেন ২ উইকেট। সমান ১টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। লিটনকে ৪ রানে ফেরান মুজিব আর শান্তকে ৫ রানে ফেরান নাভিন উল হক।দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিক-সাকিবের জুটি থেকে আসে ৫৮ রান। তাতেও নির্ভার থাকা যায়নি শেষ পর্যন্ত। মুশফিক ২৬ রানে ক্যাচ তুলে দেন করিম জানাতের বলে।এরপর মাহমুদুল্লাহ ৬, সাব্বির রহমান ১ আর আফিফ হোসেন বিদায় নেন ১ রান করে। এমন ধ্বংসস্তূপেও সাকিব তুলে নেন নিজের নবম অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানে অপরাজিত থেকে ১ ওভার হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয়ে দলকে বের করে নিয়ে আসেন আফগানদের কাছে হারের বৃত্ত থেকে। দীর্ঘ পাঁচ বছরের আফগান জুজুর অবসান ঘটল তবে!আফগানদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাভিন উল হক, রশিদ খান ও ১টি করে উইকেট নেন মুজিব, করিম জানাত