বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমার প্রাণের সংগঠন। ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত পরশু। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এই ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি বাংলাদেশের মহান স্থপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি এই তিন নীতি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, `৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, `৬৬-এর ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন, `৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, `৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, `৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং `৯৬-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই‘। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সোনার মানুষ গড়ার পাঠশালা।
১৯৭৬ সাল, চারিদিকে দারুণ অনিশ্চয়তা। মানুষের মনে তখন ক্ষোভের আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। মাত্র কয়েক মাস পূর্বে ‘ওরা‘ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাঙ্গালী জাতির পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে কখনো কাছাকাছি সশরীরে দেখিনি। ১৯৭৪ সালে ভুটানের রাজা বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু নৌবিহার করতে পাগলাস্থ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নৌঘাঁটিতে যাওয়ার পথে জুরাইন মাজার এর সম্মুখস্থ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলাম। উদ্দেশ্য সেই মহান বীরকে এক নজর দেখবো, যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার আবাল বৃদ্ধ বনিতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছে। কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পারিনি। গাড়ীবহর দ্রুত চলে গিয়েছিল।
স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিলো। নৌকা আকৃতির একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। আমি তখন স্কুলের ছাত্র। আমার বাবার সাথে সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেদিন অনেক দূর থেকে বঙ্গবন্ধুকে আবছা আবছা দেখেছি। বাবার মুখে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের কথা শুনেছি। সেই থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যতটুকু ভালবাসা সৃষ্টি হয়েছে। সেইটুকু ভালোবাসার টানেই জাতির পিতার এই নির্মম হত্যাকাণ্ড কোটি কোটি বাঙালির ন্যায় আমার সেদিনের সেই ছোট্ট মনও মেনে নিতে পারেনি। এই চরম প্রতিকূল অবস্থায় শিক্ষা শান্তি প্রগতি নীতির প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে তৎকালীন ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হই। স্কুল ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে (সাবেক) ডেমরা এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের ছাত্রলীগের পতাকাতলে সংগঠিত করেছি। আমার সমবয়সী শিশু রাসেল সহ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে ‘মুজিব হত্যার পরিণাম বাংলা হবে ভিয়েতনাম‘, ‘আমরা সবাই মুজিব হব-মুজিব হত্যার বদলা নেব, এক মুজিবের রক্ত থেকে-লক্ষ মুজিব জন্ম নেবে’ ‘কৃষক বলে শ্রমিক ভাই, মুজিব হত্যার বিচার চাই‘ শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত করেছি রাজপথ।
স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে আজ গর্ব করে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুকে আর ফিরে পাব না, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেদিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে।
আমার স্কুল ও কলেজ জীবনে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের মরহুম বাচ্চু ভাই, কে এম শহিদুল্লাহ-এস এ মান্নান কচি, আশরাফুল আলম মারুফ-মতিউর রহমান মতি ভাই এর নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলাম। কারণ আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খ্রিস্টান মিশনারি পরিচালিত নটরডেম কলেজে ছাত্র রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না। তাই তৎকালীন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে সাবেক ডেমরা এলাকায় প্রতিটি মহল্লা, অলিগলিতে ছাত্রলীগের কর্মী সংগ্রহে ঘুরে বেড়িয়েছি। ডেমরা এলাকার বেশিরভাগই ছিল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তখন লুঙ্গি পরে জুতা হাতে করেও যেতে হয়েছে অনেক এলাকায়। প্রতিটি গলিতে বা ছোট আকারের প্রতিটি মহল্লায় একজন করে কর্মী তৈরি করে ঐ গলি বা মহল্লার দায়িত্ব দেওয়া হতো। ঐগলি বা মহল্লায় ছাত্র ছাত্রীদের কে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, কোনো ছাত্র সংগঠনের সাথে সংযুক্ত কিনা? ইত্যাদি তথ্যাদি সংগ্রহ করে পুরা এলাকায় বসবাসরত ছাত্রছাত্রীদের ডাটাবেজ তৈরি করা হতো। পুরা এলাকায় বসবাসরত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হতো।
বর্তমান ৫৪ নং ওয়ার্ডের আবুল বাসার রিপন পিএইচডি ডিগ্রী শেষে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে চাকুরী করে। মাঝে মধ্যে টেলিফোনে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখে। রিপনের বাবা ডাঃ এম এ হোসেন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি একটি ফার্মেসীতে বসতেন, নিয়মিত রোগী দেখতেন। ডাক্তার সাহেবের দুঃখ , উনার ছেলে হাইস্কুলের ছাত্র। সকালে ঘুম থেকে দেরীতে উঠে। আমাকে বললেন, প্রতিদিন সকালে ডেকে নিতে। আমি নিয়মিত সকালে রিপনকে ঘুম থেকে তুলে সাথে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হতাম। ক্রমে ক্রমে তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতি বুঝালাম। শেষ পর্যন্ত সে ডেমরা থানা ছাএলীগের সভাপতি হয়েছিল। এমনি প্রক্রিয়ায় কঠিন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ছাত্রলীগ সংগঠিত করা হয়েছিল।
এরপর আমার ছাত্রলীগের রাজনীতির বিশ্ববিদ্যালয় পর্ব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য দরখাস্ত জমা দিতে এসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়েছিলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মরহুম কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি ও প্রদীপ রঞ্জন কর যথাক্রমে তৎকালীন ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএস ছিলেন। মরহুম কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান এমপি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। নবাগত শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পতাকাতলে সমবেত করার জন্য বিশাল কার্যক্রম। ভর্তিচ্ছুদের আবেদনপত্র সংগ্রহ করে পূরণ করে জমা দিয়ে দেওয়া, সারাদিনের কার্যক্রম শেষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিকালে ফিরতি ট্রেনে তুলে দেওয়া পর্যন্ত সঙ্গ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত। পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসলে প্রার্থীদের পরীক্ষা গৃহ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া, পরীক্ষা শেষে নিরাপদে অভিভাবকদের নিকট পৌঁছে দেয়া এবং সবশেষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রেরণ করার জন্য পোষ্ট কার্ডে ঠিকানা লিখে রেখে ফিরতি ট্রেনে তুলে দেওয়ার কাজও সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ভর্তি হওয়ার পর আবাসিক হলে সীট বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দেয়া অভিভাবকসুলভ আচরণ করে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করা। উদ্দেশ্য একটাই, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ঐ সকল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংস্পর্শে থাকতে কুণ্ঠাবোধ না করেন এবং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ঐ নেতাদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তাদের অনুসরণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পতাকাতলে সমবেত হয়। আমরা ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে ছাত্রলীগের ব্যানারে একই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করাকালীন সময়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিদিন প্রতিটি হলে, সম্ভব হলে প্রতিটি ফ্লরে গিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে কুশলাদি বিনিময় ও সার্বিক খোঁজখবর নেয়া হতো। এই প্রক্রিয়ায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মুগ্ধ হয়ে অনেক নতুন ছাত্র-ছাত্রী ছাত্রলীগের পতাকাতলে যোগদান করতো। শওকত মোমেন শাহজাহান ভাই বলতেন, ‘I want quality, not quantity’. তাই আমাদের সবসময়ই লক্ষ্য ছিল মেধাবী ছাত্র, ভাল খেলোয়াড়, ভাল বিতার্কিক, ভাল গায়ক, ভাল অভিনেতা, ভাল বক্তা, ইত্যাদি সেলিব্রেটিদের ছাত্রলীগের সদস্য করা। উদ্দেশ্য, সাধারণ ছাত্ররা এইসকল তারকাদের সম্পৃক্ততার কারণে ছাত্রলীগের প্রতি আকৃষ্ট হবে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলে ভোট দিবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (বাকসু) ৮৮-৮৯ সেশনের নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জিএস পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। সেসময় শুধুমাত্র বাকসু‘তেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পুরো প্যানেলে বিজয়ী হয়েছিল।
মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচার ও বিএনপি-জামায়াত উৎখাত করে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিজয় অর্জনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে, স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধীদের বিচার করেছে। বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
এশিয়া মহাদেশের অন্যতম গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ পথ চলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী নিজের জীবন অকাতরে উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগের সমাবেশে বলেছিলেন, ‘দানবের সঙ্গে লড়াইয়ে যে কোনো পরিণতিকে মাথা পেতে বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ২৩ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজনবোধে বুকের রক্তে গঙ্গা বহাইয়া দেব। তবু সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার বীর শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করব না‘। বঙ্গবন্ধুর কথাতেই তাঁর একান্ত অনুগত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অগণিত নেতা-কর্মী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এইক্ষনে স্মরণ করছি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী রাউফুন বসুনিয়া, চুন্নু, মোজাম্মেল, কাঞ্চন, দীপালী সাহাসহ অসংখ্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মিছিলের মধ্যে পুলিশের চলন্ত ট্রাক তুলে দিলে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে জীবন দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা সেলিম-দেলোয়ার। আজ মনে পড়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শওকত-ওয়ালী-মোহসীন ও কামাল-রঞ্জিতের নাম। বিএনপির সন্ত্রাসীরা ডাকসু ভবনে রাখা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করলে প্রতিবাদকারী ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান মেসের, জুরাইনের সাহসী ছাত্রলীগ কর্মী নওফেল সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়। নওফেল হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশে মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত হয়েছিলেন। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন মনিরুজ্জামান বাদলসহ অসংখ্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরব, অহংকার, সোনালী অতীতের ধারক-বাহক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হিসেবে বর্তমান নেতাকর্মীদেরদের প্রতি আহ্বান জানাই- আপনাদের কোন কর্মকাণ্ডে যেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল অতীত ঐতিহ্যে আঁচড় না লাগে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার কর্মী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, ভেটেরিনারীয়ান, পরিবেশবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক কর্মী ও কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।