করোনাভাইরাসের প্রভাবে বড় অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রফতানি খাতসহ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থায়। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ সহায়তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পর জন্যও নীতি সহায়তা প্রয়োজন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরে ১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হারাবে বাংলাদেশ। চাকরি হারাবে অন্তত ৯ লাখ মানুষ। সঙ্কট মোকাবিলায় বেতন ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে সরকার। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি হবেন না।
বিকেএমইর প্রথম সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাস বেতন ভাতা দেয়ার অবস্থা আমাদের করে দেন। সেই সঙ্গে আগামী ছয় মাস লাভসহ বন্ধ থাকবে। এটা না হলে কোনো ধরনের কার্যকারিতা থাকবে না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। অন্যদিকে রিজার্ভ কাজে লাগিয়ে ১ শতাংশ সুদে তহবিল গঠন, অগ্রিম কর ও ভ্যাট মওকুফের পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ডিসিসিআই।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দিতে না পারলে হুমকির মুখে পড়বে প্রান্তিক মানুষ।
আগামী বাজেটের জন্য তৃণমূলের মানুষকে রক্ষায় কম প্রয়োজনীর প্রকল্প বাদ দিয়ে সামাজিক সুরক্ষায় বেশি ব্যয় করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।