প্রাচীন মানব নিয়ানডারথাল থেকে ৬০ হাজার বছর আগে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ডিএনএ আধুনিক মানুষের শরীরে এসেছে। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে এই নির্দিষ্ট ডিএনএ কেন করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে তা এখনও জানেন না বিজ্ঞানীরা। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
নতুন এই গবেষণা শুক্রবার অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে এবং এখনও কোনও সায়েন্টিফিক জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়নি। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিসিস্ট জোশুয়া অ্যাকে বলেন, ৬০ হাজার বছর আগে ঘটা ইন্টারব্রিডিংয়ের প্রভাব আজও বিদ্যমান। অ্যাকে অবশ্য নতুন এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন না।নতুন এ গবেষণায় দেখা গেছে, মানব ইতিহাসের দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া ডিএনএর এই সংস্করণটি নানা বিবর্তিত হয়েছে। এ সংস্করণটি এখন সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বাংলাদেশের মানুষের শরীরে। বাংলাদেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষের শরীরে ওই ডিএনএর অন্তত একটি সংস্করণ উপস্থিতি রয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এই ডিএনএ বহন করে।তবে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের শরীরে এই ডিএনএর উপস্থিতি অনেকটাই কম। ইউরোপের মাত্র ৮ শতাংশ মানুষের শরীরে এই ডিএনএ’র উপস্থিতি রয়েছে। আবার আফ্রিকা অঞ্চলের কারও শরীরেই এটির উপস্থিতি নেই।নতুন এই গবেষণার একজন লেখক, সুইডেনের কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের একজন জেনেটিসিস্ট হুগো জেবার্গ বলেন, গত ৬০ হাজার বছর ধরে কোনও বিবর্তন প্যাটার্নের মাধ্যমে এই ডিএনএর বণ্টন হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, এটা লাখ টাকার প্রশ্ন।একটা সম্ভাবনা হতে পারে যে, নিয়ানডারথাল ভার্সন ডিএনএটি খুব ক্ষতিকর এবং অনেকটা বিরল হয়ে উঠেছে। আবার এমনও হতে পারে এই ডিএনএ ভাইরাসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে।তবে এগুলো সবই এখন পর্যন্ত অনুমান নির্ভর বিষয়। গবেষকরা বলছেন, লিঙ্গ, বয়স কিংবা অঞ্চলভেদে করোনাভাইরাস কেন মারাত্মক হয়ে উঠছে, সেটা বোঝার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন।