বাংলাদেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ। তারপরও প্রায় ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। প্রতি বছর প্রায় তিন লাখ ৬০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় নতুন করে আক্রান্ত হন। উন্নত ও বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও জনসচেতনতার অভাব ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে এই বিপুল সংখ্যক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে মনে করেন বক্তারা।
দেশে প্রতিদিন যক্ষ্মায় আক্রান্ত অন্তত ৯৭৮ জনের মধ্যে ১৬ জনের ওষুধ প্রতিরোধী (এমডিআর) যক্ষ্মায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম জোরদার, জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আরও অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।
সভায় বক্তব্য রাখেন, নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) সহকারী পরিচালক আফজালুর রহমান, ব্র্যাকের সংক্রামক রোগ কর্মসূচির প্রধান ডা. শায়লা ইসলামসহ অনেকে।
সভায় ব্র্যাক, আইসিডিডিআরবি, পার্টনারস ইন হেলথ ইন ডেভলপমেন্ট (পিএইচডি), এআরকে ফাউন্ডেশন, খুলনা মুক্তিসেবা সংস্থা (কেএমএসএস), নাটাব, বিজিএমইএ, পায়াকট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তাসহ মোট ৫০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।