বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ পাঠাতে নুন্যতম রফতানি মূল্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। ফলে এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নির্ধারিত কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হবে না আমদানিকারকদের। এছাড়া ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে দেশটি। প্রতি টন পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে এতদিন সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল, সেটিও দেশটির সরকার প্রত্যাহার করেছে। এতে করে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমে আসবে বলে আশা করছেন আমদানিকারকরা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতের বৈদেশিক বানিজ্য শাখা। সেই বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে এই দীর্ঘ সময় ধরে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছিল ভারত। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৪ মে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। এরপর হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলেও দেশের বাজারে কমেনি দাম। তবে শুল্ক আরোপের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ছিল পেঁয়াজের দাম। এ কারণে বিকল্প মিশর ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রফতানিমূল্য বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে ভারত সরকার।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:২১ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি