চলমান মহামারি করোনা সংক্রমণজনিত নেতিবাচক প্রভাবে কারণে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এ অনুমান সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। সরকার মনে করছে, চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শমিক ২ শতাংশ।
সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, পরবর্তী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ২ শতাংশ। এছাড়া তৈরি পোশাকশিল্পের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গত আগস্টে প্রকাশিত সাময়িক হিসেবে ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও দেশের অর্থনীতিবিদগণ তা অবাস্তব বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে মজুরি কমে যাওয়ার প্রভাবে বেসরকারি ভোগব্যয় কমে যেতে পারে। তৈরি পোশাকের চাহিদা পুনরুদ্ধার হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য দরিদ্র ও দুর্বলদের সুরক্ষা এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও চাকরি সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা দরকার। এ জন্য সরকারকে উপযুক্ত আর্থিক পদক্ষেপ নিতে হবে।