লক্ষ্য বিশাল, ২১২ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে এক হারিয়ে বসলেও শুরুতেই বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে গিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। কিন্তু তারকা ব্যাটসম্যান শেই হোপ ফিরে গেলেই বেশ চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত এই বিপর্যয় থেকে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৭৫ ইনিংস গুটিয়ে নেয় তারা। আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তাই বাংলাদেশ জিতেছে ৩৬ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে সিরিজ সমতায় (১-১) ফিরেছে তারা। এর আগে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আট উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছিল। আগের কয়েকটি ম্যাচে দারুণ খেলা শেই হোপ এই ম্যাচে ৩৬ রানের একটি চমৎকার ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। পরে রোভম্যান পাওয়েল ৩৪ বলে ৫০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে গেলে সব আশা শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এদিন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলার পর বল হাতেও উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চার ওভার বল করে মাত্র ২০ রান খরচায় পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। আর একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান ও আবু হায়দার রনি। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর দারুণ ইনিংসের ওপর ভর করে ২১১ রানের রেকর্ড সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে এই মিরপুরেই গড়েছিল ২০৪ রানের রেকর্ড সংগ্রহ। সেটিকে টপকে ২১১ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশ চার উইকেট হারিয়ে এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে। অবশ্য তামিম ইকবাল ১৬ বলে ১৫ রান করে কটরেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের বলে। তবে ঝড় তুলেছেন লিটন দাস। ২৭ বলে পাঁচটি চার এবং চারটি ছক্কার মারে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অবশ্য ব্যক্তিগত ৫৫ রানে কিমো পলের বলে একবার জীবন পেয়েছেন লিটন। অন্য প্রান্ত থেকে সৌম্য সরকার উপযুক্ত সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাঁকে। মাত্র ৩৪ বলে দুজনে জুটির অর্ধশতক পূর্ণ করে। তবে ৬৮ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৩২ রানে আউট হয়েছেন সৌম্য। ২২ বলে একটি ছক্কা ও তিনটি চারের মারে এই ইনিংস সাজিয়েছিলেন সৌম্য। ৩৪ বলে ৬০ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কার মার। মিস্টার ডিপেনডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিমও সঙ্গ দিতে পারেননি সাকিবকে। একটি রান করেই আউট হয়েছেন তিনি। তবে মাঠে নেমেই শেলডন কটরেলকে প্রথম তিন বলে তিনটি চার মেরে রানের চাকা সচল রেখেছেন সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৪২ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন দুজনে। এই জুটিতেই ২১১ রানের বড় সংগ্রহ জমা হয় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তবে ২১ বলে ৪৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ এবং ২৬ বলে ৪২ রান করেছেন সাকিব। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া কটরেল আজ চার ওভারে ৩৮ রান দিয়ে মাত্র দুটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। শেলডন থমাস ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন পেয়েছেন একটি করে উইকেট। তবে বাংলাদেশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি কেউই।