বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে। শক্ত কোন বিরোধী দল নেই। যারা বিরোধী দল দাবী করে তারা সরকারী দলের হয়ে সংসদের নিয়ম পালন করছে। আবার ক্ষমতায় যেতে অধৈর্য হয়ে উঠেছে অন্যরা। জনগনের পক্ষে কথা বলার কোন বিরোধী দল নেই দেশে। নেতাদের অনেকেই এখন আর নৈতিকভাবে স্বচ্ছ নয়। রাজনীতি এখন পুরুটাই ক্ষমতা কেন্দ্রিক এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা কেবল।
বর্তমান সরকার দেশে ব্যপক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু কিছু কিছু নেতা, এম পি মন্ত্রীর কর্মকান্ডে ব্যাপক সমালোচিত। রাজনীতি এখন আর মানুষকে ভরসা দিতে পারছেনা। তাই দেশের মানুষ একটি স্বচ্ছ এবং জনপ্রতিনিধিত্বমূলক দল প্রত্যাশা করে আসছে বহুদিন ধরেই। সুযোগও সৃষ্টি হয়েছিল এই শুন্যতায় নতুন দল গঠনের। কিছু দলছুট নেতা এবং ব্যক্তি ইমেজকে ব্যবহার করে জোট গঠনেরও চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে অনেকের যোগ্যতাও রয়েছে। কিন্তু এই দলছুট নেতাদের মধ্যে যা নেই তা হল ধৈর্য্য। এই জোটেরও মূল লক্ষ্যটি দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়া। নিজেরা মতবিরোধ করে খন্ড খন্ড দলে বিভক্ত হয়ে পরেছে। এখন নামসর্বস্ব নেতা পরিচয়ে জ্ঞান বিলান জাতিকে। এই নেতারা দুই জন এক মত হতে পারেন না।
✪ আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতি
হঠৎ করেই ভিপি নূরের নেতৃত্বে কিছু তরুণ একটি নতুন দল গঠনে স্বক্রিয় হয়। সেই দলের আহবায়ক নির্বাচিত হয় এক সময় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। তিনি বিদেশে পড়াশুনা করে বিদেশী আদব কায়দায় অভ্যস্থ। বাংলাদেশের সঙ্গে তার খুব একটা সম্পর্ক নেই। বাবার স্থান দখল করতে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে নতুন দলের নিবন্ধনও প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। দলের নীতি আদর্শ কি হবে তা জানা না গেলেও বহু তরুণ যোগ দিয়েছিল এই নতুন দলে। তারা সাহস দেখিয়েছে নতুন দল গঠনের। এটাই প্রাত্যাশিত ছিল। ভি পি নূর দাপটের সঙ্গেই উচ্চারণ করেছিল জনতার হয়ে রাজনীতি করবেন। কিন্তু দল গঠন করে দ্রুতই তারা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। দলের দুই শীর্ষ নেতার স্ববিরোধী বক্তব্য এবং তাদের সন্দেহজনক আচরন জনমনে ভীতি চঞ্চার করে। এমন অবস্থাটি নতুন দল গঠনে সহায়ক নয়। দুই নেতার ব্যক্তিগত আচরন এবং পালটা পালটি বক্তব্য সংবাদ হচ্ছে প্রতিদিন। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এরা কি পারবে রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে!
✪ আরও পড়ুন:বি এন পি
ভি পি নূরের অর্থলোভ বার বার আলোচিত হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে মোসাদ (ইসরাইয়েল গোয়েন্দা সংস্থা)র প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক এবং অর্থ গ্রহন এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। দলের আহবায়ক রেজা কিবরিয়া নিজেই এই অভিযোগের সত্যতা স্বিকার করে বক্তব্য দিয়েছেন। ফিলিস্থিনি রাষ্ট্রদুতও একই অভিযোগ করেছে ভি পি নূরের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভি পি নূরের অর্থ কেলেঙ্কারীর খবর চাউর হচ্ছে প্রতিদিন। এমন নেতাদেরকে জনগন বিশ্বাস করবে কোন ভরসায়! রেজা কিবরিয়া এবং ভিপি নূরের পালটা পালটি বক্তব্যে একটি বিষয় এখন নিশ্চিত হয়েছে, নতুন দল গঠনের এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে গেল। এই ব্যর্থ দল থেকেই শাখা প্রশাখা বের হয়ে দেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যাটিই কেবল বাড়াবে-জনগনের প্রত্যাশাটি পূরণ হবে না।
✪ আরও পড়ুন: রাজনীতিতে সময় একটা বড় ফ্যাক্টর
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি