আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মানবাধিকার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির কারণে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জবাবদিহি চাইতে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপ-আঞ্চলিক পরিচালক লিভিয়া স্যাকার্দি বলেন, ‘চতুর্থ ইউপিআর এমন সময়ে হচ্ছে, যখন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে মানবাধিকার, প্রতিষ্ঠান, বিরোধী নেতা, স্বাধীন গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ বাধার মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ইউপিআর পর্যালোচনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যাচাই, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের জন্য দেশটির সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারবে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি চার বছরে একবার জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ড রিভিউয়ের সুযোগ এনে দেয় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ইউপিআর। এর আগে ইউপিআরে বাংলাদেশের সামনে যেসব সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে ইউপিআরে মূল্যায়ন জমা দিয়েছে অ্যামনেস্টি। তাতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশ, অন্যান্য মানবাধিকার- যেমন জোরপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সংখ্যালঘুদের অধিকার, মৃত্যুদণ্ড ও শরণার্থীদের অধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, স্কুলছাত্র, শ্রমিক এবং রাজনৈতিক কর্মীদের দ্বারা সংগঠিত সহ বিভিন্ন নাগরিক সমস্যায় পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন অব্যাহত রেখেছে। কর্তৃপক্ষ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, লাঠিসোটা, স্টান গ্রেনেড এবং জলকামান এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই অবিলম্বে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের তদন্ত করতে হবে এবং কমান্ডের দায়িত্বসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:২০ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/এমআরবি