বাংলাদেশকে ৩ হাজার কোটি (৩৫ কোটি ডলার) আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এবং রোহিঙ্গাদের জন্য এরইমধ্যে এ অনুদান অনুমোদন করা হয়েছে। তিন প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হবে।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদশি মুদ্রায় প্রায় তিন হাজার ১০ কোটি টাকা অনুদান অনুমোদন করে বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী এ সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এই অনুদান স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়া, সামাজিক সুরক্ষা, মৌলিক পরিষেবা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে কক্সবাজার জেলায় ব্যবহার করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশাল উদারতা দেখিয়েছে। আশ্রয় পাওয়া এই জনগোষ্ঠী টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার স্থানীয় জনসংখ্যার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এটি বিদ্যমান অবকাঠামো এবং সমাজসেবা সরবরাহের ওপর প্রচুর পরিমাণে চাপ সৃষ্টি করছে এবং স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।
তিনি আরো বলেন, এই অনুদান দেশের পরিষেবা সরবরাহের ক্ষমতা আরো জোরদার করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও স্থিতি বাড়িয়ে তুলবে। কক্সবাজার জেলার জন্য ১৫ কোটি ডলারের হেলথ এবং জেন্ডার সহায়তা প্রকল্পটি রোহিঙ্গাসহ তিন দশমিক ছয় মিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবায় অ্যাক্সেস করতে সক্ষম করবে। পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ও প্রতিক্রিয়াশীল পরিষেবার মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
জানা গেছে, প্রকল্পটি উন্নত পাবলিক অবকাঠামোতে স্থানীয় লোকসহ প্রায় সাত লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মানুষকে উপকৃত করবে। এর মধ্যে রয়েছে তিন লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ এক লাখ ৭১ হাজার ৮০০ জনের জন্য আরো ভালো স্যানিটেশন।
এছাড়া জেলাটির দরিদ্র মোকাবিলায় আরেকটি প্রকল্পের আওতায় খরচ করা হবে ১০ কোটি ডলার। দারিদ্র্য নিরসন কর্মসংস্থান জেনারেশন প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হোস্ট সম্প্রদায়ের দরিদ্র ও দুর্বল পরিবারগুলোকে জীবিকা এবং আয়ের সহায়তা দেয়া হবে।